আরব আমিরাতে চট্টগ্রামের তিন যুবকের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২২ । ২২:১৪ | আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২২ । ২২:১৪

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

সংযুক্ত আরব আমিরাতে একটি কক্ষ থেকে তিন যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাস আল খাইমাহ এলাকার গ্রোসারি দোকান-সংলগ্ন কক্ষ থেকে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃতরা হলেন- চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাহুলি এলাকার মৃত লোকমানের ছেলে আমিরুল ইসলাম কাইয়ুম, পটিয়া উপজেলার খরনা ইউনিয়নের লালারখীল এলাকার মোহাম্মদ রাকিব এবং চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর এলাকার গিয়াস উদ্দিন।

মৃতরা রাস আল খাইমাহ এলাকায় বাংলাদেশি মালিকানাধীন একটি গ্রোসারি দোকানে কাজ করতেন এবং গ্রোসারি-সংলগ্ন একটি কক্ষে থাকতেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্রোসারির জেনারেটর থেকে নিঃসৃত বিষাক্ত গ্যাসে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয়েছে।


দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শ্রম সচিব ফকির মনোয়ার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'তিন যুবকের মৃত্যুর কারণ জানতে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।'

শুক্রবার সন্ধ্যায় পটিয়ার খরনা ইউনিয়নের ফকিরপাড়া কাইয়ুমের নানাবাড়ি গিয়ে দেখা যায়, একমাত্র ছেলের মৃত্যুতে মা নিলু আক্তার ভেঙে পড়েছেন। তিনি কাঁদছেন আর বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। স্বজন ও প্রতিবেশীর কোনো সান্ত্বনায় কাজে আসছে না। জ্ঞান ফিরতেই নিলু আক্তার বলতে থাকেন, 'বাবারে কাইয়ুম, তুই কই গেলিরে। আমার পুতেরে তারা কী করল? আমার পুত চাই, তোমরা আমার পুতেরে আমার বুকে ফিরাইয়া আইন্না দেও।'

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালেও ফোন করে তাঁর খোঁজ নেন কাইয়ুম। শুক্রবার সকালে ফোন দিয়ে পাননি মা। এরপর জামাই আব্দুর রহিমের কাছে ফোন দিলে মৃত্যুর তথ্য জানতে পারেন নিলু আক্তার।


পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০১৬ সালে কাইয়ুমের বাবা লোকমান মারা যান। এরপর দুই মেয়ে ও একমাত্র ছেলে কাইয়ুমকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকা শুরু করেন নিলু। সংসারে সচ্ছলতার জন্য দশম শ্রেণিপড়ূয়া কাইয়ুমকে গত মার্চে সংযুক্ত আরব আমিরাত পাঠান। বড় মেয়ের জামাই আবদুর রহিম নিয়ে গিয়ে তাঁকে গ্রোসারির দোকানে চাকরি দেন।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com