উচ্ছৃঙ্খল জীবনের কারণে হত্যার শিকার হন সাবিনা

আদালতে আসামির স্বীকারোক্তি

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২২ । ২২:৪৪ | আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২২ । ২২:৪৪

গাজীপুর প্রতিনিধি

আসামি মো. তুলা মিয়া (মাঝে)

শ্বাসরোধে হত্যার পর পরনের শাড়ি দিয়ে পুকুরের পিলারের সঙ্গে সাবিনার লাশ বেঁধে পানির নিচে ডুবিয়ে রাখা হয়। এর দু'দিন পর গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ি বাজার এলাকার নির্জন পুকুর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উচ্ছৃঙ্খল জীবন বেছে নেওয়ায় তৈরি হওয়া দ্বন্দ্বের জেরে খুন হন তিনি। আসামির জবানবন্দির আলোকে এ তথ্য জানিয়েছে গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার জোকা গ্রামের লাল মিয়ার মেয়ে সাবিনা। হত্যার সাড়ে তিন বছর পর তাঁর খুন হওয়ার কারণ জানাল পিবিআই। গ্রেপ্তার আসামি মো. তুলা মিয়া হত্যার বর্ণনা দিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে ভোরে ভালুকার ভরাডোবা থেকে ধোবাউড়ার মোড়লবাড়ি গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে তুলা মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।

পিবিআই জানায়, গাজীপুরের কাপাসিয়ার জয়নারায়ণপুর গ্রামে নানি, খালা ও খালুর সঙ্গে থাকতেন সাবিনা। চাকরি করতেন পোশাক কারখানায়। পরপর চারটি বিয়ে করলেও কোনোটিই টেকেনি। গভীর রাতে বাসায় ফেরায় পরিবার তা মেনে নেয়নি। শাসন করলে তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। ২০১৯ সালের ২৫ জুন সাবিনা বাসায় ফিরলে তাঁকে মারধর করা হয়।

পরে বাড়ি থেকে রাগ করে বেরিয়ে যান সাবিনা। খোঁজাখুঁজি করে শ্রীপুরের রাজাবাড়ি এলাকায় পাওয়া যায় তাঁকে। সেখানেই খালু সুজন ও তাঁর সহযোগী তুলা মিয়াসহ অন্যরা সাবিনাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পুকুরে লাশ ফেলে চলে আসেন। এ ঘটনায় খালা ফুলেমা খাতুন সাথী শ্রীপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে শ্রীপুর থানা ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-২ তদন্ত করে। পরে পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পায়। আসামি সুজন পলাতক।

পিবিআইর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দীর্ঘ তদন্ত শেষে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে অন্যদের নাম উল্লেখ করে জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি তুলা মিয়া।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com