সারাদেশে বিএনপির ৫৩৪ নেতাকর্মীর নামে মামলা, গ্রেপ্তার ২৪

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২২ । ২২:৫২ | আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২২ । ২২:৫২

সমকাল ডেস্ক

ফাইল ছবি

পুলিশের ওপর হামলা, ক্ষমতাসীন দলের কর্মসূচিতে ককটেল নিক্ষেপ ও নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও পাঁচটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় বিএনপির ৫৩৪ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অন্তত ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

বরিশালের বাবুগঞ্জে ককটেল বিস্ম্ফোরণের অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইসরাত হোসেন তালুকদারকে প্রধান আসামি করে ২০৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন এসআই হান্নান মিয়া। তবে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ মামলায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

এদিকে উজিরপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ম্ফোরণের ঘটনায় বিএনপির ৪৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতে মামলা করেন উজিরপুর মডেল থানার এসআই শফিকুল ইসলাম। পরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি রাজীব মজুমদার ও জেলা যুবদলের সদস্য সোহান হোসেন ডালিমকে গ্রেপ্তার করেছে। ওসি মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নবগঠিত মহিপুর থানা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির ২০৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মহিপুর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সহসভাপতি আল-আমিন। পরে পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। ওসি (তদন্ত) হাফিজুর রহমান এ তথ্য জানান।

নড়াইলের কালিয়ায় অভিযান চালিয়ে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি জনি মুসল্লিসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ওসি শেখ তাসমীম আলম জানান, গ্রেপ্তাররা নিয়মিত মামলার আসামি।

ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বুধবার রাতে ককটেল হামলার ঘটনায় মোয়াজ্জেম হোসেন ও ওয়াসিম হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ সকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন দলটির নেতাকর্মীরা। এতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু বক্তব্য দেন।

বগুড়ায় বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপির ৫২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সদর থানার এসআই ওসমান গনি এ মামলা করেন। এ নিয়ে জেলায় বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা হলো।

তবে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা কেউ দেখেননি। আর মামলার অন্যতম আসামি সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেল চার দিন ধরে ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক বাবু কুমার সাহা জানান, মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় বিএনপি-জামায়াতের ২০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ম্ফোরক আইনে বৃহস্পতিবার রাতে মামলা করেছে পুলিশ। ওসি আব্দুল মজিদ জানান, পরে রাতেই উপজেলার দাওগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি মুনসুর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসান ও শহরের মুজাটি এলাকার সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মানিকগঞ্জে বিএনপির আরও তিন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে সদর ও সাটুরিয়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিশেষ অভিযানে নিয়মিত মামলার এসব আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান।

এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আজ সকালে জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে মিছিল বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন তুহিন, ছাত্রদল সভাপতি আবু কায়েস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিএনপির নেতারা। আজ এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান প্রমুখ।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com