ডায়াপার পরা নভোচারী

প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২২ । ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

কিছু আলো নীল ডেস্ক

১৯৬১ সালের ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো কোনো মানবসৃষ্ট মহাকাশযান পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের ভস্টক-১ নামের ওই মহাকাশযানটি এক নতুন ইতিহাস রচনা করে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় একের পর এক মহাকাশযান বিভিন্ন দিকে গেছে। মহাশূন্য ভ্রমণ নিঃসন্দেহে এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। এর মাঝে লুকিয়ে আছে অনেক মজার তথ্যও-

১. ডায়াপার নভোচারীদের নিত্যসঙ্গী। তবে তাদের পরা ডায়াপারকে বলা হয়- 'ম্যাক্সিমাম অ্যাবসরবেন্সি গার্মেন্ট' বা সর্বোচ্চ শোষক পোশাক। নাম ভিন্ন হলেও এ ডায়াপারের কাজ কিন্তু ভিন্ন কিছু নয়। মহাকাশে আর্দ্রতা রোধ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ত্বক শুস্ক রাখার জন্য এমনটি করা হয়। আবার অনেক সময় অভিযানে দেরি হলে নভোচারীকে যেন তাঁর পুরো স্যুটটি খুলতে না হয়, সে জন্যও এ ডায়াপার জরুরি।

২. মহাকাশযানে প্রস্রাব-পায়খানা করার ব্যবস্থা মোটেও বাসাবাড়ির মতো নয়। এই টয়লেটগুলো মূলত ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের মতো। একটি পাইপ থাকে, যা মূত্রত্যাগের জন্য ব্যবহূত হয় এবং ভ্যাকুয়ামের সঙ্গে একটি সংযুক্ত ঝুড়ি থাকে, যা মলত্যাগের জন্য ব্যবহূত হয়।

৩. নভোচারীদের ঘুমও অন্যান্য অনেক বিষয়ের মতোই অদ্ভুত। মাইক্রোগ্র্যাভিটির কারণে নভোচারী এবং মহাকাশযানে বিভিন্ন বস্তু চারদিকে ভেসে বেড়ায়। ঘুমানোর সময় এমন ভেসে বেড়ানোটা মোটেও নিরাপদ নয়। তাই নভোচারীদের ঘুমানোর জন্য বিশেষ স্লিপিং ব্যাগ রয়েছে, যা প্রত্যেকের নির্ধারিত স্থানে দেয়ালের সঙ্গে সংযুক্ত করা যায়; যাতে ঘুমন্ত অবস্থায় কোনো নভোচারীকে ঘুরে বেড়াতে না হয়।

৪. পানিপ্রবাহের জন্য মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রয়োজন। তাই মহাকাশযানে গোসলের নিয়মও ভিন্ন। পানির চারদিকে ছড়িয়ে পড়া রুখতে নভোচারীরা একটি সিলিন্ডার আকৃতির বদ্ধ শাওয়ারের ভেতর গোসল করে থাকেন। এ সময় শরীর ধৌত করার জন্য তারা একটি পানির স্প্রে ব্যবহার করেন এবং একটি ভ্যাকুয়ামের সাহায্যে শরীর থেকে পানি শুকিয়ে ফেলেন। া

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com