
ব্যয় বাড়ায় থমকে আছে মডেল মসজিদ নির্মাণ
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২২ । ০০:০০ | আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২২ । ১৫:০২ | প্রিন্ট সংস্করণ
বগুড়া ব্যুরো

ফাইল ছবি
নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ায় বগুড়ায় মডেল মসজিদ নির্মাণকাজ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন ঠিকাদাররা। কাজ শুরুর সময় যে ব্যয় ধরে 'ওয়ার্ক অর্ডার' দেওয়া হয়েছিল, এখন তা বেড়ে হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ফলে মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পে কাজ থমকে আছে। একটি মসজিদ থেকে নির্মাণসামগ্রী সরিয়ে নিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সরকারের মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় বগুড়া সদর উপজেলায় দুটি ও প্রতিটি উপজেলায় একটি করে জেলার ১২টি উপজেলায় ১৩টি মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১৭ সালে গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে প্রথম ধাপে ছয়টি মসজিদ নির্মাণ করতে দরপত্র আহ্বান করা হয়। তিন তলাবিশিষ্ট প্রতিটি মসজিদের জন্য ১২ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করে ঠিকাদারদের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। প্রথম ধাপে শেরপুর, কাহালু ও সারিয়াকান্দিতে নির্মাণকাজ শেষ করা হয় গত বছরের জুনে। প্রথম ধাপের বাকি তিনটির মধ্যে নন্দীগ্রাম, ধুনট ও আদমদীঘির কাজ আটকে যায় বরাদ্দের অভাবে। দীর্ঘদিন পর অর্থ ছাড় করা হলেও কাজে ধীরগতি দেখা দেয়। তবে সংশ্নিষ্টরা বলছেন, ওই তিন মসজিদের কাজও প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।
এরই মধ্যে ২০১৯ সালে আরও পাঁচটি মসজিদ নির্মাণ করতে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এ পাঁচটি হলো- শিবগঞ্জ, সোনাতলা, দুপচাঁচিয়া, গাবতলী ও শাজাহানপুর উপজেলায়। তিন বছরের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করতে ২০২০ সালে কার্যাদেশ দেওয়া হয় ঠিকাদারদের। এরই এক পর্যায়ে গত বছর হঠাৎ করে নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যায়। ফলে ঠিকাদাররা কাজ বন্ধ করে হাত গুটিয়ে বসে থাকেন। এর মধ্যে জেলার শিবগঞ্জ ও সোনাতলা উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণের কাজ করছিল মেসার্স কাজী এরফানুর রহমান নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তিন বছর আগে নির্মাণকাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। শিবগঞ্জে মসজিদের নির্মাণকাজ প্রথম দিকে দ্রুত এগোলেও পরে ৫২টি কলাম ও কয়েক ধাপ সিঁড়ি নির্মাণের পর কাজ বন্ধ রাখা হয়। এক বছর বন্ধ রাখার পর সম্প্রতি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন নির্মাণাধীন এ মসজিদের রড, খোয়া ও পাথর, বালু ট্রাকে তুলে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি জহুরুল ইসলাম বলেন, কয়েক বছর আগের টেন্ডারে কাজটি পেলেও বর্তমানে নির্মাণসামগ্রীর দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় কাজ বন্ধ রাখা হয়। তিনি বলেন, এখানে ৫২টি কলাম, সিঁড়ি নির্মাণে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তিনি জানান, কাজ বন্ধ রাখার ব্যাপারে গণপূর্ত বিভাগকে অবগত করা হয়েছে। তাদের সিদ্ধান্তে আবার কাজ করা হবে।
এদিকে বগুড়া সদরের দুটি মসজিদের মধ্যে গোকুল টিএমএসএস এলাকায় একটি নির্মাণের জায়গা মিলেছে। তবে আরেকটি মসজিদের জন্য জায়গা মিলছে না। শহরের মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল মাঠে মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও স্বাস্থ্য বিভাগ সম্মতি দিচ্ছে না।
গণপূর্ত বিভাগ বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী এ এইচ এম শাহরিয়ার বলেন, নির্মাণসামগ্রীর দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ঠিকাদার কাজ করবে না বলে জানিয়েছেন। প্রয়োজনে পুনঃটেন্ডারের মাধ্যমে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করা হবে।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com