
কানাডায় আবাসিক ভবনে বন্দুকধারীর গুলিতে ৫ জন নিহত
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২২ । ২২:১৭ | আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২২ । ২২:১৭
অনলাইন ডেস্ক

ঘটনাস্থলে এই মুহূর্তে নিরাপত্তা হুমকি নেই। ছবি- রয়টার্স।
কানাডার টরন্টোতে আবাসিক ভবনে বন্দুকধারীর গুলিতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। টরন্টো থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার উত্তরে ভনের একটি ভবনে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা সাতটা ২০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল ছয়টা ২০ মিনিট) পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সন্দেহভাজন ব্যক্তি সেখানে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। গুরুতর আহত আরও একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর- বিবিসির।
এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে। বন্দুকধারী ও নিহতদের মধ্যে কী ঘটেছিল তাও তদন্ত করা হচ্ছে।
ইয়র্কের পুলিশ প্রধান জিম ম্যাকসুইন বলেছেন, ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাটে একাধিক মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। সেই দৃশ্য ভয়াবহ। সেখানের পরিবারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে ঘটনার বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।
তিনি আরও জানান, এই মুহূর্তে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জনসাধারণের জন্য কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই। এ ঘটনার পর যাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল তারা এখন বাড়ি ফিরতে পারবে বলে জানিয়েছে ইয়র্ক পুলিশ।
এক টুইট বার্তায় ভনের মেয়র স্টিফেন ডেল ডুকা নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, মর্মান্তিক ওই পরিস্থিতিতে যে সাহসীরা প্রথম প্রথম সাড়া দিয়েছেন তারা স্বীকৃতি দাবিদার।
২০২০ সালের এপ্রিলে কানাডার নোভা স্কটিয়া এলাকায় বন্দুকধারীর হামলায় ২৩ জন নিহত হয়। এর কয়েক দিন পরই ১ হাজার ৫০০ ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র নিষিদ্ধ করে দেশটির সরকার।
কানাডা সরকারের পরিসংখ্যান সংস্থা বলছে, দেশটিতে যত সহিংস অপরাধের ঘটনা ঘটে, তার প্রায় তিন শতাংশই আগ্নেয়াস্ত্র-সংশ্লিষ্ট সহিংস অপরাধের ঘটনা। ২০০৯ সাল থেকে কারও দিকে বন্দুক তাক করার মাথাপিছু হার প্রায় তিন গুণ হয়েছে। একই সময়ে কাউকে হত্যা কিংবা আহত করার ইচ্ছা থেকে গুলি ছোড়ার হার পাঁচ গুণ বেড়েছে।
কানাডার শহর এলাকাগুলোতে যেসব বন্দুক সহিংসতা ঘটে, তার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের ক্ষেত্রে হ্যান্ডগান বা হাতে নিয়ন্ত্রিত বন্দুক ব্যবহার করা হয়।
কানাডার পুলিশ দাবি করে থাকে, দেশটিতে বন্দুক চোরাচালানের মূল উৎস যুক্তরাষ্ট্র। কানাডার জননিরাপত্তা-বিষয়ক মন্ত্রী মারকো মেন্দিচিনোর হিসাব অনুসারে তাঁর দেশে প্রায় ১০ লাখ হ্যান্ডগান আছে। এক দশক আগের তুলনায় এ সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com