
নৌকায় সমুদ্র পাড়ি
২০০ রোহিঙ্গার জীবন বাঁচানোর আকুতি আসিয়ানের
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২২ । ০০:০০ | আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২২ । ১২:২৩ | প্রিন্ট সংস্করণ
সমকাল ডেস্ক

ভারতের আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি এলাকার সাগরে তিন সপ্তাহ ধরে নৌকায় ভাসছে নারী-শিশুসহ প্রায় ২০০ রোহিঙ্গা। দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ান এসব রোহিঙ্গার জীবন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এজন্য জোটটি ভারত মহাসাগরের উপকূলবর্তী বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রতি রোহিঙ্গাদের জীবন বাঁচানোর আহ্বান জানিয়েছে। কারণ খাবার ও পানির অভাবে সাগরে প্রাণ হারানোর শঙ্কায় রয়েছে তারা।
আলজাজিরার খবর।
কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূল থেকে মালয়েশিয়াগামী নৌকার ওই যাত্রীরা সবাই রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ছিল। মাঝসাগরে বিপদগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের বাঁচাতে ভারত মহাসাগরের উপকূলবর্তী চার দেশ থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আসিয়ানের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ানস অব হিউম্যান রাইটস (এপিএইচআর)। মঙ্গলবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
গত ১ ডিসেম্বর কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে নারী-শিশুসহ ২০০ রোহিঙ্গা নিয়ে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করে ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি। কিন্তু মালাক্কা প্রণালি পার হয়ে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপুঞ্জের কাছাকাছি আসার পর নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।
গত তিন সপ্তাহে সেই ইঞ্জিন মেরামত করতে পারেননি মাঝিরা। এদিকে টানা ২০ দিন সমুদ্রে ভাসতে থাকা নৌকায় খাবার ও পানির মজুত
শেষ হয়ে গেছে কয়েকদিন আগেই। ক্ষুধা ও পানিশূন্যতায় ইতোমধ্যে কয়েকজন যাত্রীর মৃত্যুও হয়েছে।
অবস্থা বেগতিক দেখে রোববার নৌকাটির প্রধান মাঝি তার আত্মীয় এবং কক্সবাজার রোহিঙ্গা শিবিরের শরণার্থী মোহাম্মদ খান রেজওয়ানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে মৃত্যুমুখে পড়ার কথা জানান। পরে মোহাম্মদ খান রেজওয়ান শরণার্থী শিবির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাগরে ভাসতে থাকা রোঙ্গিাদের উদ্ধারে ব্যবস্থা
নেওয়ার অনুরোধ জানান।
এপিএইচআরের বোর্ড সদস্য ইভা সুন্দারি বিবৃতিতে বলেন, ২০০ মানুষ দিনের পর দিন একটি নৌকায় সমুদ্রে ভাসছে এবং খাবার ও পানির অভাবে মৃত্যুমুখে পড়েছে। ক্ষুধার্ত-নিরাশ্রয় মানুষকে অবহেলা করা মনুষ্যত্বকে অপমান করার শামিল।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার তথ্যমতে, গত বছর মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে বাংলাদেশ থেকে যাত্রা করেছিল ২২১ রোহিঙ্গা। আর চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সেই সংখ্যা ১ হাজার ৯২০ জনে দাঁড়িয়েছে।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com