কিডনি ডায়ালাইসিস ফি বাড়ানোয় প্রতিবাদ অব্যাহত

কিডনি ডায়ালাইসিসের ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রোগী ও স্বজনরা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের মূল ফটকের সামনের সড়ক ২ ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ সময় পুলিশ সড়ক থেকে সরাতে গেলে তাঁদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

আন্দোলনকারীরা জানান, প্রতি মাসে একজন রোগীকে আটবার কিডনি ডায়ালাইসিস করতে হয়। এর মধ্যে দুইবার ২৭৯৫ টাকা করে এবং বাকি ৬ বার ৫১০ টাকা করে পরিশোধ করতে হতো। তবে নতুন বছরের শুরুতে দুইবারের স্থলে ২৭৯৫ টাকার ফি চারবার করা হয়েছে। সেটিও বাড়িয়ে ২৯৩৫ টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকি চারবার ৫১০ টাকার বদলে ৫৩৫ টাকা করা হয়েছে। এতে রোগীপ্রতি ডায়ালাইসিস ফি প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

নগরের পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদিকুর রহমান জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সড়ক অবরোধ করেন রোগী ও স্বজনরা। অনেক বোঝানোর পর দুপুর দেড়টার দিকে তাঁরা সড়ক ছাড়লে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এ বিষয়ে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সাড়ে ৬ হাজার রোগী ডায়ালাইসিস সুবিধা পান। চুক্তিমতে, প্রতি বছর ৫ শতাংশ বাড়ে। আমাদের সরকারি নিয়মের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, একটা সমাধান আসবে।

পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় ঢাকার জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও চমেক হাসপাতালে ডায়ালাইসিসসহ কিডনি রোগীদের বিভিন্ন সেবা দিচ্ছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান স্যান্ডর মেডিকেইডস প্রাইভেট লিমিটেড। ২০২২ সাল পর্যন্ত রোগীপ্রতি ডায়ালাইসিসের জন্য সরকারিভাবে প্রতি সেশনে ৫১০ টাকা ও বেসরকারিভাবে ২৭৯৫ টাকা করে নিত প্রতিষ্ঠানটি। তবে ২০২৩ সালের প্রথম দিন থেকে সেটি বাড়িয়ে সরকারিভাবে ৫৩৫ ও বেসরকারিভাবে ২৯৩৫ টাকা করা হয়েছে।

এর প্রতিবাদে গত ৭ জানুয়ারি চমেক হাসপাতালের 'স্যান্ডর ডায়ালাইসিস সেন্টারের' সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন রোগী ও স্ব্বজনরা। এসব রোগী কম খরচে সেবা পেতে জেলার দূরদূরান্ত থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে আসেন।