কালের খেয়া কুইজ ৮৬

আবদুশ শাকুর ও গোলাপসংগ্রহ

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২৩ । ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

--

আবদুশ শাকুর [২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৪১-মৃত্যু :১০ জানুয়ারি ২০১৩]

আবদুশ শাকুরের জন্ম ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে, নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার রামেশ্বরপুর গ্রামে। বাবা মকবুল আহমাদ ও মা ফায়জুন্নিসা। দুই ভাই-এক বোনের মধ্যে তিনি সর্বকনিষ্ঠ। ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে কামিল পাস করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্সসহ এমএ করেন। পরে ১৯৮০ সালে নেদারল্যান্ডসের আইএসএস (ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল স্টাডিজ) থেকে উন্নয়ন অর্থনীতিতে এমএস করেন। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপনা, পরে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। বাংলাদেশ সরকারের সচিব হিসেবে ২০০০ সালে তিনি কর্মজীবন থেকে অবসর নেন। পড়াশোনা করেন বিবিধ বিষয়ে, নানান ভাষায়। লেখেন গল্প, উপন্যাস, নাটক ও প্রবন্ধ। তবে রচনাসাহিত্যে তাঁর অবস্থান শীর্ষস্থানীয়।

বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্বনির্বাচিত প্রবন্ধ ও রচনাগ্রন্থে আবদুশ শাকুর সম্বন্ধে বলেন, ''আজ আমাদের চারপাশে অযত্ন আর অবহেলায় লেখা শিথিল গদ্যভাষার যে 'অলীক কুনাট্যরঙ্গ' মাথা উঁচিয়ে উঠেছে। আবদুশ শাকুরের গদ্য চিরায়ত গদ্যের পক্ষ থেকে তাঁর শক্তিমান প্রতিবাদ, জ্ঞান, মেধা এবং মননের সমবায় তাঁর বৈদগ্ধ্যকে এমন এক পরিশীলিত শ্রী এবং উপভোগ্যতা দিয়েছে, যার কাছাকাছি জিনিস চিরায়ত বাংলাসাহিত্যের ভিতরেই কেবল খুঁজে পাওয়া যাবে।''

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও তুলনামূলক সাহিত্যের অধ্যাপক ড. অমিয় দেব কলকাতার দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকার ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের বিশেষ একটি সাহিত্যিক ক্রোড়পত্রে আবদুশ শাকুরের কথাসাহিত্য আলোচনাক্রমে লিখেছেন : 'প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতা তাঁর ছোটগল্পে এক অনুপম চারুতা ও প্রাসঙ্গিকতা যোগ করে। বাগ্মী এই কথাকোবিদের প্রতিটি রচনাকেই আলোকিত করে বিবিধ বিষয়ে তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্য। শাকুরের সমগ্র কথাসাহিত্যে বিশেষভাবে লক্ষণীয় বস্তুটি হলো চিন্তাশক্তি আর কল্পনাশক্তির চমৎকার সমবায়।'

বঙ্গবাসী কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ড. বিষুষ্ণ বেরা কলকাতার মাসিক 'একুশ শতক' পত্রিকায় ২০০৫ সালের এক সংখ্যায় আলোচনাকালে আবদুশ শাকুরের রম্যরচনা সম্পর্কে লেখেন : "অসাধারণ পাণ্ডিত্য ও সূক্ষ্ণ রসবোধসম্পন্ন কথাশিল্পী শাকুর তাঁর রচনাসাহিত্যে নিজেকে এবং তাঁর প্রিয় বাংলাদেশ ও পরিবর্তমান বাঙালি সমাজকে বিশ শতকের উত্তাল বিশ্ব ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে নানা রঙে নানা ভঙ্গিমায় স্থাপন করেছেন। মনন ও অভিজ্ঞতায় এই লেখক প্রকৃত অর্থেই একজন বিশ্বনাগরিক।

আবদুশ শাকুরের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : উপন্যাস- 'সহে না চেতনা', 'ভালোবাসা', 'উত্তর-দক্ষিণ সংলাপ', 'সংলাপ', 'ক্রাইসিস'। রম্যরচনা- 'ভেজাল বাঙালি, নির্বাচিত কড়চা', 'মধ্যবিত্তের কড়চা', 'চুয়াত্তরের কড়চা', 'আবদুশ শাকুরের কড়চা', সেরা রম্যরচনা : 'আবদুশ শাকুর' (আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ সম্পাদিত)। গবেষণাগ্রন্থ- 'গোলাপসংগ্রহ' (পুষ্পবিষয়ক), বাঙালির মুক্তির গান (দেশাত্মবোধক গান সম্পর্কে), সঙ্গীত সঙ্গীত (সংগীতবিষয়ক), মহান শ্রোতা (সংগীতবিষয়ক), মহামহিম রবীন্দ্রনাথ (রবীন্দ্রনাথবিষয়ক), পরম্পরাহীন রবীন্দ্রনাথ (রবীন্দ্রনাথবিষয়ক), রবীন্দ্রনাথকে যতটুকু জানি (রবীন্দ্রনাথবিষয়ক), চিরনতুন রবীন্দ্রনাথ (রবীন্দ্রনাথবিষয়ক), গোলাপনামা (পুষ্পবিষয়ক)। ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

প্রশ্ন

১. কত সালে আবদুশ শাকুর নেদারল্যান্ডসের আইএসএস থেকে ডিগ্রি লাভ করেন?
২. ড. অমিয় দেবের মতে আবদুশ শাকুরের সমগ্র কথাসাহিত্যে বিশেষভাবে লক্ষণীয় বস্তু কী?
৩. আবদুশ শাকুরের রবীন্দ্রনাথবিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থের নাম লিখুন।

কুইজ ৮৫-এর উত্তর

১. আগাথা ম্যারি ক্লারিসা ক্রিস্টি
২. স্যানটনিক্স
৩. জিপসি একর

কুইজ ৮৫-এর জয়ী

বশিরুজ্জামান বশির
পশ্চিম রূপাতলী, বরিশাল

দেওয়ান সাদিয়া শারমীন
মিরপুর ১২, ঢাকা

নিয়ম
পাঠক, কুইজে অংশ নিতে আপনার উত্তর পাঠিয়ে দিন ১৭ জানুয়ারি সোমবারের মধ্যে কালের খেয়ার ঠিকানায়। পরবর্তী কুইজে প্রথম তিন বিজয়ীর নাম প্রকাশ করা হবে। বিজয়ীর ঠিকানায় পৌঁছে যাবে পুরস্কার।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com