গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ পাঁচজনের কেউই বাঁচলেন না

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২৩ । ২০:১৯ | আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২৩ । ২০:১৯

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি

ঢাকার ধামরাইয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ শিশুসহ এক পরিবারের পাঁচজনই মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন দগ্ধ পাঁচজনের সর্বশেষ সদস্যের মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরির্দশক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ধামরাইয়ে দগ্ধদের মধ্যে আজ হোসনা আক্তার (৩৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

গত ৭ জানুয়ারি ভোরে ধামরাই পৌরসভার কুমড়াইল মহল্লার একটি দোতলা বাড়ির নিচতলায় গ্যাস সিলিন্ডারে লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পোশাককর্মী মনজুরুল ইসলাম (৩২), তার স্ত্রী জোসনা বেগম (২৫), তাদের দেড় বছরের মেয়ে মরিয়ম আক্তার, জোসনার বড় বোন হোসনা আক্তার (৩৫) ও ভাগনি সাদিয়া আক্তার (২২) দগ্ধ হন।

ওইদিনই তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এরপর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ জানুয়ারি শিশু মরিয়ম, ১০ জানুয়ারি জোসনা ও সাদিয়া এবং ১১ জানুয়ারি মনজুরুল মারা যান।

দুই মেয়ে, দুই নাতনি ও মেয়ের জামাইকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন জোসনার মা সখিনা বেগম। তিনি সমকালকে বলেন, 'আমার সব শেষ হয়ে গেছে। এতো শোক আমি আর সইতে পারছি না।'

মনজুরুলের বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া মাস্টারপাড়া গ্রামে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ধামরাই পৌরসভার কুমড়াইল মহল্লার কুব্বত হোসেনের বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। পাশের নয়ারহাট এলাকার একটি পোশাক কারখানায় তিনি চাকরি করতেন। ঘটনার দু'দিন আগে জোসনার বোন হোসনা ও তাদের এক ভাগনি তাদের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন।

হোসনার মরদেহ গ্রামের বাড়ি নেওয়ার পথে তার খালাতো ভাই মাজহারুল ইসলাম সমকালকে বলেন, 'জোসনা, তার মেয়ে মরিয়ম ও ভাগনি সাদিয়াকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার কান্তিনগর গ্রামে দাফন করা হয়েছে। হোসনাকেও সেখানে দাফন করা হবে। মনজুরুলের মরদেহ দাফন করা হয়েছে তার গ্রামের বাড়িতে।'

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com