
ত্রাণের চাল আত্মসাৎ: যুবলীগ নেতা বাচ্চুর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু
প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২৩ । ২২:২৩ | আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২৩ । ২২:২৩
যশোর অফিস ও মনিরামপুর প্রতিনিধি

যুবলীগ নেতা উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু
যশোরের মণিরামপুরে সরকারি ত্রাণের চাল আত্মসাতের আলোচিত মামলায় বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন।
এ দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে অভিযুক্ত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুসহ ১২ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।
বাচ্চুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২০ সালে ৫৪৯ বস্তা ত্রাণের চাল তিনি কালোবাজারে বিক্রি করে দেন। এ ঘটনায় জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তদন্ত শেষে বাচ্চুসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্রও দিয়েছে। এরই পরিপেক্ষিতে বিভাগীয়ভাবে তদন্ত শুরু হয়েছে।খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম জানান, এর আগে যশোর জেলা প্রশাসন তদন্ত করেছিল। তবে সেটি সুস্পষ্ট না হওয়ায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। আজ ১২ জনের লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও তদন্ত ও সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নেওয়া হবে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০২০ সালের ৪ এপ্রিল খুলনার মহেশ্বরপাশা থেকে যশোরের মনিরামপুরে ৫ ট্রাক সরকারি ত্রাণের চাল আসে। এর মধ্যে এক ট্রাক চাল গোডাউনে না দিয়ে স্থানীয় ভাই ভাই রাইস মিলে পাঠানো হয়। পরে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ৫৪৯ বস্তা চাল উদ্ধার এবং মিল মালিক ও ট্রাকচালককে আটক করে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দু'জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ভাইস চেয়ারম্যান বাচ্চুসহ কয়েকজনের নাম প্রকাশ করে। এ মামলায় বাচ্চুকে কারাগারেও পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন- মণিরামপুরের বিজয়রামপুরের আব্দুল্লাহ আল মামুন, তাহেরপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম, জুড়ানপুর গ্রামের জগদিশ দাস ও আব্দুল কুদ্দুস এবং খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা সাহেবপাড়ার ট্রাকচালক ফরিদ হাওলাদার।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com