
পোলট্রি কনভেনশনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারত গরু পাঠানো বন্ধ করলে বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ থাকবে
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২৩ । ২২:০৪ | আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২৩ । ২২:০৪
সমকাল প্রতিবেদক

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল (ফাইল ফটো)
ভারত গরু পাঠানো বন্ধ করলে বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, আমরা গবাদি পশুতে এখন প্রায় স্বনির্ভর। ভারত গরু দেওয়া বন্ধ করলে পুরোপুরি স্বনির্ভর হয়ে যাব। শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) প্রথম বাংলাদেশ পোলট্রি কনভেনশনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পোলট্রি প্রফেশনাল বাংলাদেশ (পিপিবি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কনভেনশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক বেগ। এ সময় শেকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, ইউনিডোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. জাকি উজ জামান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. মোছাদ্দেক হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন। দুই দিনব্যাপী এ কনভেনশনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের খামারিসহ পোলট্রি খাতে জড়িতরা অংশ নিচ্ছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শুধু পোলট্রি নয়, গবাদি পশুতেও বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। আমি যতবার ভারতে যাই, ততবারই দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, বাংলাদেশকে আর গরু দেব না। ২০১৯ সালে সরকারি সফরে ভারতে যাওয়ার পর তিনি (অমিত শাহ) বললেন, তাঁরা গরু দিতে চান না। তখন আমি বললাম, আপনারা গরু দেওয়া বন্ধ করে দিলে আমরা কৃতজ্ঞ থাকব। কারণ গরু দেওয়া বন্ধ করলে আমরা পুরোপুরি স্বনির্ভর হয়ে যাব। এতে তিনি খুবই আশ্চর্য হলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, কিছুদিন আগেও আমি ভারতে যাওয়ার পর অমিত শাহ বললেন, এখনও তো ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু যায়। এর পর বললাম, যায় না, বরং আপনারা বাধ্য হয়ে বাংলাদেশে গরু পুশ করেন (ঠেলে দেন)।
অনেক সংগ্রাম করে পোলট্রি শিল্প টিকে আছে মন্তব্য করে আসাদুজ্জামান বলেন, দেশের মানুষের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে গড়ে উঠেছে পোলট্রি শিল্প। কিন্তু এ শিল্পের মূল সমস্যা হলো বাজারজাতকরণ নিয়ে। এ শিল্পের প্রসারে উদ্যোক্তাদের প্রস্তাবনাগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে।
এর আগে অনুষ্ঠানে মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, খামারিরা কেন ঝরে পড়ছেন, তা নিয়ে গবেষণা করতে হবে। তা ছাড়া এ শিল্পের উদ্যোক্তাদের ঋণ দিয়ে তাঁদের উৎপাদনে ফিরিয়ে আনা জরুরি। একই সঙ্গে যাঁরা ঋণগ্রস্ত, তাঁদের ঋণ মওকুফ করতে হবে।
পশুখাদ্যের দাম লাগামহীন মন্তব্য করে তিনি বলেন, পোলট্রি খাতের ওষুধের দাম ব্যাপক হারে বেড়েছে। খাদ্যের দাম কমাতেই হবে। একটি ডিমের উৎপাদন ব্যয় ১১ টাকার মতো পড়ে। তাহলে খামারিরা টিকে থাকবেন কীভাবে। এ খাতে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য রয়েছে। শিল্পটিকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে। জাকি উজ জামান বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এ সময়ে পোলট্রি খাত থেকে উৎপাদিত নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে প্রচারণা থাকা দরকার।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com