
চবিতে ফের পরীক্ষা দিলেন তিন বহিস্কৃত ছাত্রলীগ কর্মী
প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২৩ । ০০:০০ | আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২৩ । ০৪:২৯ | প্রিন্ট সংস্করণ
চবি প্রতিনিধি

তন্ময় কান্তি সরকার (বামে), অনিক দাশ (মাঝে) ও মাহমুদুল হাসান ইলিয়াস
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) একের পর এক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কৃত ছাত্রলীগ কর্মীরা। গতকাল রোববার ফের তিন কর্মী পরীক্ষা দিয়েছেন। তবে বহিস্কারের চিঠি না পাওয়ায় পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিভাগের সভাপতিরা। প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজের ব্যস্ততায় ২০ দিনেও চিঠি পাঠানো হয়নি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া।
পরীক্ষায় অংশ নেওয়া বহিস্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাহমুদুল হাসান ইলিয়াস ও তন্ময় কান্তি সরকার এবং সংস্কৃতি বিভাগের অনিক দাশ। এদের মধ্যে তন্ময় ও অনিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের এবং মাহমুদুল হাসান সিক্সটি নাইন গ্রুপের অনুসারী।
গত ৯ জানুয়ারি ছয়টি ভিন্ন ঘটনায় ১৮ শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁদের মধ্যে ১৭ জনই ছাত্রলীগ কর্মী। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩টি বিভাগে অধ্যয়নরত। তবে গতকাল পর্যন্ত বহিস্কার-সংক্রান্ত কোনো চিঠি পায়নি বিভাগগুলো।
ওই বহিস্কারের পর মাহমুদুল হাসান ইলিয়াস তিনটি এবং তন্ময় কান্তি সরকার দুটি পরীক্ষায় অংশ নেন। তাঁরা দু'জনই ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। গতকাল কলা ও মানবিকবিদ্যা অনুষদে পরীক্ষা দিয়েছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সভাপতি মীর সাইফুদ্দীন খালেদ চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে তিনি জানেন না। পরীক্ষা কমিটির প্রধান জানেন। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের পরীক্ষা কমিটির প্রধান ড. বশির আহাম্মদকে ফোন করলে তিনি কল কেটে দেন।
অন্যদিকে সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী অনিক দাশ বহিস্কারের পর তিনটি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। তিনি সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। এর আগে গত ১৬ ও ২২ জানুয়ারিও তিনি পরীক্ষায় অংশ নেন। গতকাল কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ২১৫ নম্বর কক্ষে তাঁকে পরীক্ষা দিতে দেখা গেছে। সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয় গত ৫ জানুয়ারি। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি এ পরীক্ষা শেষ হবে।
সংস্কৃতি বিভাগের সভাপতি রাজপতি দাশ বলেন, আমরা অনিক দাশের বহিস্কারের কোনো চিঠি পাইনি। এ জন্য তাঁর পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। চিঠি দেওয়া হলে যে নির্দেশনা থাকবে, তা অনুসরণ করব।
প্রক্টর ও বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সদস্য সচিব রবিউল হাসান ভূঁইয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে গত ২৩ জানুয়ারি তিনি বলেছিলেন, বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে চিঠি পাঠাতে দেরি হচ্ছে। শিগগির চিঠি পাঠানো হবে।
গত ২ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় রামদা উঁচিয়ে জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এর পর ৯ ডিসেম্বর ওই ঘটনায় ছয় ছাত্রলীগ কর্মীকে এক বছরের জন্য বহিস্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁদের মধ্যে অনিক ও তন্ময় ছিলেন।
অন্যদিকে, অন্য দুটি সংঘর্ষের ঘটনায় মাহমুদুল হাসানকে বহিস্কার করা হয় গত ৫ ও ৬ জানুয়ারি। সংঘর্ষে আহত হয়েছিলেন সহকারী প্রক্টর শহিদুল ইসলাম। এতে ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীকে বহিস্কার করে কর্তৃপক্ষ।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com