নির্বাচন সামনে রেখে অনেক নাটক সাজানোর চেষ্টা হবে: আইনমন্ত্রী

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেক ষড়যন্ত্র ও নাটক সাজানোর চেষ্টা করা হবে বলে আশঙ্কা করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সত্যকে মিথ্যা এবং মিথ্যাকে সত্য বানানোর অনেক চেষ্টা করা হবে।

আজ সোমবার সচিবালয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ সাক্ষাৎ করতে এলে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিএনপির সমাবেশের পেছনে ষড়যন্ত্র ছিল দাবি করে আইনমন্ত্রী বলেছেন, মানবাধিকার কমিশনকে ওই সব ঘটনা তদন্ত করে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করতে হবে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করতে হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সেখানে মানবাধিকার কমিশনকে কাজ করতে হবে। কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘনের অনুসন্ধানের তথ্য কমিশন পাওয়া মাত্র সরকারকে জানানোর পরামর্শ দেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারে বর্তমান সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। তাই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সব রকম সহযোগিতা করতে সরকার প্রস্তুত রয়েছে। শুধু এই কমিশন নয়, যারা মানবাধিকার রক্ষার কাজ করবে, সরকার তাদেরই সহায়তা করবে।

শিশু ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে আনিসুল হক বলেন, দেশের ৮০-৮৫ ভাগ মানুষ যেখানে বসবাস করে সেখানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এখনো পৌঁছাতে পারেনি। এসব জায়গায়ও কমিশনকে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, গ্রামীণ এলাকা ও তৃণমূল পর্যায়ে অধিকাংশ মানুষ এখনও তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন নয়। এসব মানুষকে সচেতন করতে হবে এবং কমিশনকে সফল হতে হলে সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত প্রয়োজন। এজন্য উপজেলা পর্যায়ে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও শিশুদের রচনা প্রতিযোগিতাসহ অন্যান্য প্রচার কার্যক্রম বাড়ানোর পরামর্শ দেন আইনমন্ত্রী।

বৈঠকে ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ কমিশনের কার্যক্রমের বিবরণ তুলে ধরে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানান এবং তা বাস্তবায়নে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় তিনি কমিশনের স্থায়ী ভবন নির্মাণ, অবৈতনিক সদস্যদের মর্যাদা নির্ধারণ, সরাসরি কমিশনের অনুকূলে বাজেট বরাদ্দ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর কথা তুলে ধরেন।

এ সময় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সারওয়ার, কমিশনের অবৈতনিক সদস্য আমিনুল ইসলাম, কংজরী চৌধুরী, ড. তানিয়া হক, কাওসার আহমেদ, কমিশনের সচিব নারায়ণ চন্দ্র সরকারসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।