
নির্যাতিত-নিপীড়িত নারীর আত্মকথন
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২৩ । ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
মাহফুজুর রহমান রাকিব
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ আমাকে বারবার আবেগপ্রবণ করে তোলে। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অনেক বই পড়লেও 'আমি বীরাঙ্গনা বলছি' আমার হৃদয়ে দারুণভাবে দাগ কেটেছে। এ গ্রন্থের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে নারীদের বাস্তবচিত্রই লেখক তুলে ধরেছেন দারুণ মহিমায়। এটি পড়ার আগে আমার ধারণা হয়েছিল, এটি গতানুগতিক মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা থাকবে। কিন্তু যত ঘটনাপ্রবাহ চলতে থাকে, তত ভারী হতে শুরু করে আমার চিন্তা। মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতনের শিকার সাতজন নারীর জীবনকথা তাঁদের মুখেই ঘটনার পরিচলন হতে থাকে। একটু পড়ি আর একটু থেমে যাই। আবেগতাড়িত হয়ে পড়ি মাঝামাঝি এসে। মনে হচ্ছিল, আমি সেই সময়ের ভেতরে প্রবেশ করছি। তাঁদের নিজেদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া কালো অধ্যায়ের বর্ণনা আমাকে অশ্রুসিক্ত করে তুলতে থাকে নিয়ত। একটা পর্যায়ে এসে মনে হচ্ছিল, আর এগোনো আমার পক্ষে সম্ভব নয়। পাকিস্তানি হানাদাররা কীভাবে মানুষ হয়ে মানুষের ওপর এমন অমানবিক নির্যাতন করতে পারে, তা-ই ভাবছিলাম। এদেশীয় কিছু বিশ্বাসঘাতক, রাজাকার, আলবদর, আলশামসের সদস্যরা বর্বর পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে আমাদের মা-বোনদের তুলে দেয়। এসব মানুষরূপী পশুর প্রতি আমার ঘৃণা আরও বেড়ে যায়।
বীরাঙ্গনা সাত নারীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া নির্মম অত্যাচার, নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য ঘটনা আমাকে স্তব্ধ করে দেয়। বাস্তব ঘটনা থেকে নেওয়া এ বর্ণনা লিখিত পাতার পর পাতা উল্টাতে অনেকটাই আবেগপ্রবণ হতে হয়। নিস্তব্ধতায় থমকে যাই। কিছুটা চোখের জলে পাতাগুলো ভিজে যায়। নিজেকে বোবামানব মনে হয়। কিন্তু সবকিছু থেমে থাকলে চলবে না। তাই পড়তে শুরু করি পরবর্তী ঘটনা জানতে। অনেক পরিবার, সমাজ তাদের সাহায্যের বিপরীতে অবহেলা শুরু করে। ফলে ভেতরটা ক্ষতবিক্ষত হয়ে আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত নেয় তারা। বিষয়টি হৃদয়কে প্রবলভাবে আঘাত করে। সমাজের মুখে আঙুল দেখিয়ে পরম মায়ায় বীরাঙ্গনাদের গ্রহণ করা নিয়েলসন, শফিকদের মতো বীরপুরুষদের প্রতি হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা জন্মে। বীরাঙ্গনারা সমাজের গর্ব। তাঁদের প্রতি আমার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা আজীবন। মুক্তিযুদ্ধে বীরাঙ্গনাদের আত্মত্যাগ অনন্য উদাহরণ। বাস্তবতার নিরিখে লেখা নির্যাতন-নিপীড়নের আত্মকথন 'আমি বীরাঙ্গনা বলছি।'
সুহৃদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বীরাঙ্গনা সাত নারীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া নির্মম অত্যাচার, নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য ঘটনা আমাকে স্তব্ধ করে দেয়। বাস্তব ঘটনা থেকে নেওয়া এ বর্ণনা লিখিত পাতার পর পাতা উল্টাতে অনেকটাই আবেগপ্রবণ হতে হয়। নিস্তব্ধতায় থমকে যাই। কিছুটা চোখের জলে পাতাগুলো ভিজে যায়। নিজেকে বোবামানব মনে হয়। কিন্তু সবকিছু থেমে থাকলে চলবে না। তাই পড়তে শুরু করি পরবর্তী ঘটনা জানতে। অনেক পরিবার, সমাজ তাদের সাহায্যের বিপরীতে অবহেলা শুরু করে। ফলে ভেতরটা ক্ষতবিক্ষত হয়ে আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত নেয় তারা। বিষয়টি হৃদয়কে প্রবলভাবে আঘাত করে। সমাজের মুখে আঙুল দেখিয়ে পরম মায়ায় বীরাঙ্গনাদের গ্রহণ করা নিয়েলসন, শফিকদের মতো বীরপুরুষদের প্রতি হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা জন্মে। বীরাঙ্গনারা সমাজের গর্ব। তাঁদের প্রতি আমার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা আজীবন। মুক্তিযুদ্ধে বীরাঙ্গনাদের আত্মত্যাগ অনন্য উদাহরণ। বাস্তবতার নিরিখে লেখা নির্যাতন-নিপীড়নের আত্মকথন 'আমি বীরাঙ্গনা বলছি।'
সুহৃদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com