সবুজ রক্ষায় দেশ ভ্রমণে চার বন্ধু

প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২৩ । ২২:৫৬ | আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২৩ । ২২:৫৬

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

ভার্চুয়াল মাধ্যমে কাজ করতে করতে পরিচয়। চারজন চার এলাকার, কর্মও ভিন্ন। ব্রত তাঁদের বৃক্ষনিধন ও দূষণ রোধ করে সবুজ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টি। অনলাইনে প্রচার কার্যক্রম জোরদার করতে না পেরে নেমে যান মাঠে। শুরু করেন পরিবেশ বাঁচানোর আন্দোলন। মানুষের কাছে গিয়ে বোঝাতে বেরিয়ে পড়েন সাইকেল নিয়ে। সারাদেশ ভ্রমণের আকাঙ্ক্ষায় এ পর্যন্ত ৫১ জেলা ঘুরে ফেলেছেন তাঁরা।

আজ মঙ্গলবার এই তরুণদের সঙ্গে কথা হয় বরগুনার আমতলীতে। তাঁদের সাইকেলের সামনে সাঁটানো কাগজে লেখা- 'নদীনালা খালবিল দূষণ রোধ করি, নতুন প্রজন্ম রক্ষা করি', 'আমাদের দেশ নদীমাতৃক বাংলাদেশ', 'জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর চাপ কমান' ও 'পরিবেশ দূষণ রোধ করি।'

জানা গেছে, অনলাইনে নদীনালা, খালবিল দূষণ রোধ এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর চাপ কমাতে সচেতনতামূলক প্রচার চালান চট্টগ্রামের তানভীর হোসেন, ইব্রাহিম খলিল, জয় দাস ও নারায়ণগঞ্জের মতিউল ইসলাম। প্রান্তিক পর্যায়ে মানুষকে বোঝাতে ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের সার্কিট হাউস মাঠ থেকে সাইকেলে বেরিয়ে পড়েন দেশভ্রমণে। এ কাজে তাঁদের সহায়তা দিচ্ছেন স্থানীয় সমাজসেবক সিটিজি পার্সেল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আজিজুল মোমিন। সেই থেকে তাঁরা কপবাজার, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, বান্দরবান, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, বাগেরহাট, মেহেরপুর, ঝালকাঠি, ঢাকাসহ ৫১ জেলায় প্রচার চালিয়েছেন। গতকালই তাঁরা রওনা হন পটুয়াখালীর উদ্দেশে। এরপর ভোলা হয়ে বাকি জেলাগুলো ভ্রমণ করবেন।

তানভীর বলেন, আমি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, জয় সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী, ইব্রাহিম এইচএসসি পাস ও মতিউল পড়াশোনা শেষে ভিডিওগ্রাফির কাজ করছেন। তবে দুই ক্ষেত্রে আমরা অভিন্ন; চারজনই সাইক্লিস্ট ও পরিবেশবাদী। জয় বলেন, জেলাগুলো ভ্রমণের পথে মানুষকে জমায়েত করে নদীনালা, খালবিল দখল-দূষণ থেকে বিরত থাকা এবং জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে বিকল্প জ্বালানি ব্যবহারের আহ্বান জানাই। বিতরণ করছি নানা সচেতনতামূলক প্রচারপত্র। মতিউল বলেন, কার্বন নিঃসরণ না করে দেশভ্রমণের জন্য আমরা সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছি। এটি পরিবেশ রক্ষার অন্যতম উপায়।

পরিবেশ নিয়ে কাজ করেন বরগুনার সাংবাদিক মনির হোসেন কামাল। তিনি বলেন, এই চার বন্ধুর উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। যেখানে সবাই বৃক্ষনিধন ও পরিবেশ ধ্বংসের উৎসবে মেতেছে, সেখানে এই তরুণরা ধরাকে বাঁচানোর আন্দোলনে নেমেছেন। দেশের জনগণ সচেতন হলে আসলেই একটি নির্মল সুন্দর পরিবেশ পাওয়া সম্ভব।

ইউএনও মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, অন্য অনেক তরুণ-যুবার মতো সময় অপচয় না করে তাঁরা মানুষকে সচেতন করছেন, পরিবেশ রক্ষার চেষ্টা করছেন। তাঁদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এ কার্যক্রমে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা প্রয়োজন হলে আমরা প্রস্তুত থাকব।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com