
বিরল সবুজ ধূমকেতু
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২৩ । ১০:২০ | আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২৩ । ১০:২০
সমকাল ডেস্ক

প্রায় ৫০ হাজার বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো পৃথিবী ও সূর্যকে অতিক্রম করার সময় একটি বিরল সবুজ ধূমকেতু মানুষের কাছে সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান হচ্ছে।
এক বছরেরও কম সময় আগে আবিস্কৃৃত ধুলাময় এই তুষারগোলটি শেষবার নিয়ান্ডারথাল সময়ে পৃথিবীর কাছাকাছি এসেছিল বলে নাসা জানিয়েছে। এর মানে হচ্ছে, বর্তমানে জীবিত কারও আর এই ধূমকেতু দেখার সুযোগ হবে না।
মহাজাগতিক এই বিস্ময়কর ধূমকেতুটি বিদায় নেওয়ার আগে বুধবার ও বৃহস্পতিবার সবচেয়ে কাছে চলে আসবে। তখনও অবশ্য পৃথিবী থেকে এর অবস্থান থাকবে ৪ কোটি ২০ লাখ কিলোমিটার দূরে। ধূমকেতুটি ইতোমধ্যে দুরবিন এবং ছোট টেলিস্কোপ দিয়ে পরিস্কার রাতের আকাশে দেখা যাচ্ছে। উত্তর গোলার্ধের অন্ধকার কোণে সম্ভবত খালি চোখেই মিলবে এর সাক্ষাৎ। এটি আরও উজ্জ্বল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এটি মঙ্গল গ্রহের কাছাকাছি হবে।
নাসার ধূমকেতু এবং গ্রহাণু-ট্র্যাকিং বিশেষজ্ঞ পল চোদাস বলেছেন, গত এক বছরে প্রচুর ধূমকেতু আকাশে বিচরণ করেছে। তবে এটি সম্ভবত একটু বড় এবং তাই কিছুটা উজ্জ্বল এবং এটি পৃথিবীর কক্ষপথের একটু কাছে আসছে।
সি/২০২২ ইথ্রি (জেটিএফ) নামে বিশেষ এই ধূমকেতুকে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি মানমন্দিরে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ২০২২
সালের মার্চ মাসে আবিস্কার করেছিলেন। প্রতি ৫০ হাজার বছরে এটি সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর এক ডজনেরও কম ধূমকেতু আবিস্কৃত হয়। এর মধ্যে কিছু ধূমকেতু তুলনামূলক ঘন ঘন হাজির হয়। হ্যালির ধূমকেতু গড়ে প্রতি ৭৬ বছরে ঘুরে আসে। আল-জাজিরা।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com