আমাকে স্যার বলতে হবে, এজন্য জিততে দেয়নি: হিরো আলম

প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২৩ । ১৪:২৫ | আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২৩ । ১৪:৩৪

বগুড়া ব্যুরো

বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বলেছেন, কিছু কিছু শিক্ষিত লোক আমাকে মেনে নিতে চায় না। তারা ভাবে আমি পাস করলে দেশের সম্মান যাবে, অনেকের সম্মান যাবে। অফিসারদের লজ্জা যে, হিরো আলমেক স্যার বলে সম্বোধন করতে হবে। এজন্য আমাকে জিততে দেয়নি।

বগুড়ার দুই আসনের নির্বাচনে পরাজয়ের পর বুধবার রাতে সদরের এরুলিয়ায় বানদিঘী গ্রামে তার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। এসময় ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন হিরো আলম।

 

তিনি বলেন, আজ সারা বাংলাদেশ তাকিয়ে ছিল, হিরো আলমের কী হবে? আমার গর্বে বুক ভরে গেছে। আজ মনে হয়েছে, আমি প্রধানমন্ত্রীর ভোট করলাম। ভোটের ফলাফল সবাই জানেন। আমাদের নন্দীগ্রামে যখন ফলাফল ঘোষণা করা হয়, সেখানে ৪৯টি কেন্দ্র। সবাই বলেছেন আপনি পাস করেছেন। ভোটাররাও ভোট দিয়েছেন। আমার এত ভোট গেলো কই? নির্বাচন কর্মকর্তা ৩৯টি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা দিয়ে থেমে যান। এরপর সরাসরি বাকি ১০ কেন্দ্রে তানসেন জয়ী বলে ঘোষণা দেন। এই ১০ কেন্দ্রেই ফলাফল কারচুপি করা হয়েছে।

আলোচিত হিরো আলম বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা পুলিশ, বিজিবি ও র‍্যাব বলেছে আপনি জিতেছেন। ফলাফল ঘোষণা হওয়ার আগেই আওয়ামী লীগের লোকজন বলছে, মশাল জিতে গেছে এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বাকি। আওয়ামী লীগের লোকজনও আমাকে ভোট দিয়েছেন। দল নয় আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়েছেন। ওই ভোটগুলো গেল কই? এই ফলাফল আমি মানি না।

তিনি আরও বলেন, এসব অনিয়মের বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ দেইনি। তবে ফলাফলের বিরুদ্ধে আদালতে যাব। আমার বিজয় ছিনতাই করা হয়েছে। ১০টি কেন্দ্রের ভোট গণনা বাদ দিয়েই ফলাফল দিয়েছে প্রশাসন। এই কেন্দ্রগুলোতে কত ভোট পেলাম তা জানানো হয়নি আমাকে।

বগুড়া-৪ আসনে ফলাফলে হিরো আলম ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে মশাল প্রতীকের কাছে হেরেছেন। তবে বগুড়া-৬ আসনে তিনি পাঁচ হাজার ২৭৪ ভোট পেয়েছেন।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com