জানুয়ারিতে ১৩০ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি

জানুয়ারি মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৩০ কোটি ৬৩ লাখ ৪ হাজার টাকার চোরাচালান পণ্য ও অস্ত্র-গোলাবারুদ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় চোরাচালানে জড়িত অভিযোগে ১৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, উদ্ধার অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দুটি পিস্তল, ২২টি বন্দুক, দুটি ম্যাগজিন, একটি মর্টার শেল, একটি ৬০ মিলিমিটার মর্টারের গোলা ও ১৩০ রাউন্ড গুলি। অন্যান্য চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৩১ কেজি ৬২৮ গ্রাম স্বর্ণ, ৬ কেজি ৬১ গ্রাম রূপা, ১ লাখ ৬২ হাজার ১০৯টি প্রসাধন সামগ্রী, ২২ হাজার ৫১০টি ইমিটেশন গহনা, ১০ হাজার ৭৮৯টি শাড়ি, ৫ হাজার ৭৬৩টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, ২ হাজার ৭১২টি তৈরি পোশাক, ৩ হাজার ৩৮৬ ঘনফুট কাঠ, ৩ হাজার ৯৪২ কেজি চা পাতা, ৮৬ হাজার ৭১৪ কেজি কয়লা, দু'টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৪৭ কেজি কচ্ছপের শুটকি, ১ হাজার ৯৫০ কেজি কারেন্ট জাল, ১ হাজার ৭৪ কেজি কীটনাশক, ৭টি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান, ১৩টি পিকআপ, ৭টি প্রাইভেটকার, ২০টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক এবং ৭৯টি মোটরসাইকেল।

বিজিবি জানায়, জব্দ মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ২৬৮পিস ইয়াবা, ৩ কেজি ১৬৯ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ (আইস), ৮ কেজি ৮৩২ গ্রাম হেরোইন, ১৪ হাজার ৬১৭ বোতল ফেনসিডিল, ২২ হাজার ৭২৮ বোতল বিদেশি মদ, ৫ হাজার ২২৯ ক্যান বিয়ার, ১৩৩ লিটার বাংলা মদ, ২ হাজার ৫০১ কেজি গাঁজা, ১ লাখ ৯৩ হাজার ২৪১ প্যাকেট বিড়ি-সিগারেট, ১৯ হাজার ২৮৯টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ১০ হাজার ৯৪৭টি ইস্কাফ সিরাপ, ৯০৫ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৫৩৪ পিস বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, ৩৫ হাজার ৩৩০টি অ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট এবং ১০ লাখ ৮৮ হাজার ৫৯টি অন্যান্য ট্যাবলেট।

এ ছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করায় ৫২ বাংলাদেশি ও ৭ ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানায় বিজিবি।