
আগে হয়েছে ডিজিটাল কারচুপি, এবার স্মার্ট কারচুপি: হারুনুর রশীদ
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২৩ । ২৩:৫৮ | আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২৩ । ২৩:৫৮
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের সদ্য পদত্যাগী সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীন যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, তা আবারও প্রমাণ হলো গতকালের উপনির্বাচনে। আগে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কারচুপি হয়েছে। এবার হলো স্মার্ট পদ্ধতিতে। এটা নির্বাচনে নতুন মডেল।
বৃহস্পতিবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের পাঠানপাড়ায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
হারুনুর রশীদ বলেন, যেসব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হকের পক্ষে কাজ করছিলেন, নির্বাচনের আগে তাদের কাছে গিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেছেন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। এ ছাড়া অনেক কেন্দ্র থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনেই। ভরাডুবি আঁচ করতে পেরে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সন্ত্রাসীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউলের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দিয়েছে। ভোটেরদিন ভোটকেন্দ্র দখল করেছে নৌকার সমর্থকরা। আর এতে বাধা দিতে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা হামলার শিকার হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়েছে। এতে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ভোটকেন্দ্রে যাননি। শেষ মুহূর্তে এসব ঘটিয়ে কোনোমতে অল্প ব্যবধানে জিতেছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী।
তিনি বলেন, নৌকার প্রার্থীর নিজ এলাকা মহারাজপুর ও বারঘরিয়াতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কোন এজেন্টই ছিলনা। যার প্রমাণ অস্বাভাবিক ফলাফল।
সাবেক সংসদ সদস্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুস সাত্তারের আসনের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, আওয়ামী লীগ কত কাণ্ডই না ঘটাল। এটা ব্যাখ্যার দরকার নেই। দেশবাসীর কাছে সেটা সুস্পষ্ট হয়েছে।
তিনি দাবি করে বলেন, তিনি ও তার দল নির্বাচন বয়কট করায় ভোটারের উপস্থিতি এত কম। বিএনপির কর্মীরা যে ভোট দিতে যায়নি ভোট পড়ার হারই তার প্রমাণ। তাই ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক কর্মসূচির মাধ্যমে এ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে বিএনপির আন্দোলনে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছিলেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘তার দলের অনুসারীরা কেউই ভোট কেন্দ্রে যায়নি। যদি যেত ভোটের বন্যা বয়ে যেত। সাধারণ মানুষ ও যারা বিএনপির নীরব সমর্থক, যাদের আমরা চিনি না এবং আবদুল ওদুদের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের একটি অংশ সামিউলকে ভোট দিয়েছে। তা ছাড়া আমি চেয়েছি আবদুল ওদুদ ফেল করুক, এটা ঠিক।’
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com