মূলধনি পণ্যের আমদানি কমেছে ১১ শতাংশ

প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২৩ । ০৬:৫৮ | আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২৩ । ০৬:৫৮

বিশেষ প্রতিনিধি

ডলার সংকটের এ সময়ে আমদানি কমাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাণিজ্যের আড়ালে অর্থ পাচার ঠেকাতে পণ্য ধরে ধরে এলসির তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। এর মধ্যে অনেক পণ্যের মতো মূলধনি পণ্যের আমদানিও কমেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে মূলধনি পণ্যের আমদানি ১১ শতাংশের বেশি কমে ৭৩০ কোটি ডলারের নিচে নেমেছে।

সংশ্নিষ্টরা জানান, নতুন বিনিয়োগ, কারখানার পরিধি বা সক্ষমতা বাড়াতে সবার আগে দরকার হয় মূলধনি যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য পণ্যের। অবশ্য মূলধনি পণ্য আমদানিতে শুল্ক কম থাকাসহ বিভিন্ন কারণে এর আড়ালে অর্থ পাচারের অভিযোগও বেশি শোনা যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সার্বিকভাবে শুধু গত ডিসেম্বর মাসে আমদানি ব্যয় ২৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ কমেছে। এর প্রভাবে পুরো অর্থবছরে ব্যয় ২ দশমিক ২০ শতাংশ কমে ৪ হাজার ১১৯ কোটি ডলারে নেমেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে আমদানিতে ব্যয় হয় ৪ হাজার ২১২ কোটি ডলার। আমদানি কমলেও গত ডিসেম্বর পর্যন্ত রপ্তানি ১১ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৭৩১ কোটি ডলার হয়েছে। আর রেমিট্যান্স ২ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৪৯ কোটি ডলার হয়েছে। এত কিছুর পরও নতুন ঋণের তুলনায় পরিশোধ বেড়ে যাওয়ায় সামগ্রিক হিসাবে ঘাটতি বেড়েছে। এসব কারণে আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়ার পরও গত বৃহস্পতিবার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলারে।

ডলার সংকটের মধ্যে আমদানি কমা নিয়ে নানা সমালোচনার জবাব দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে আমদানি কমার অন্যতম কারণ বাণিজ্যের আড়ালে অর্থ পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ও বিএফআইইউর প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, তদারক করতে গিয়ে তাঁরা ২০ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত ওভার ইনভয়েসিং তথা পণ্যের দর বেশি দেখিয়ে আমদানি চেষ্টার তথ্য পেয়েছেন।

আমদানি কমাতে তুলনামূলক কম প্রয়োজনীয় ও বিলাসবহুল পণ্যের শুল্ক্কহার বাড়িয়েছে সরকার। বেশ কিছু পণ্য আমদানির এলসির সময় শতভাগ ও ৭৫ শতাংশ নগদ জমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর গত আগস্ট মাস থেকে বড় এলসির পণ্য ধরে ধরে যাচাই করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এলসি খোলার আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অবহিত করতে হয়। এ ক্ষেত্রে এলসিতে যে দর দেওয়া হচ্ছে, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা, ডলার সংস্থান হবে কীভাবে, যে পণ্য আনা হচ্ছে তার প্রয়োজনীয়তাসহ বিভিন্ন বিষয় যাচাই করে অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com