ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

নারী হেনস্তার ঘটনায় দুই ছাত্রলীগ নেতা সাময়িক বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২৩ । ২১:২৯ | আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২৩ । ২১:২৯

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

তানজীর আরাফাত তুষার ও রাহুল রায়

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক এক নারী শিক্ষার্থী ও তার স্বামীকে মারধরের পর স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা দু'জনই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন, অসদাচরণ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত’ থাকায় তাদের বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইঙ্গে তাদেরকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না এ বিষয়ে পত্রপ্রাপ্তির সাত কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ওই দুই শিক্ষার্থী হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্দিন হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৭- ২০১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তানজীর আরাফাত তুষার এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সদস্য ও আইন বিভাগের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাহুল রায়।

এদের মধ্যে তানজীর আরাফাত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। আর রাহুল রায় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী সমকালকে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ এবং এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ১৫ জানুয়ারির ঘটনায় ভুক্তভোগী সাবেক ওই নারী শিক্ষার্থী ১৭ জানুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলা করেন। ১৮ জানুয়ারি পুলিশ তানজীর আরাফাত তুষারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে। কয়েকদিন আগে তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান।

তাদের বহিষ্কারের বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী সমকালকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় আমি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’

সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আমি ও আমার স্বামী মোটরসাইকেলে করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঘুরছিলাম। শিখা চিরন্তনের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় রাহুল, তুষারসহ কয়েকজন মোটরসাইকেল থামিয়ে আমাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও শ্লীলতাহানি করেন।

তিনি জানান, এ সময় তারা তার স্বামীকে এলোপাতাড়ি মারধর করে তার গলায় থাকা এক লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যান। এ ঘটনায় বাধা দিতে গেলে পাশে থাকা কর্তব্যরত আনসারদের প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে তাকে আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন ওই দুই ছাত্রলীগ নেতা।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com