
পাস করেছেন মা, মেয়ে করলেন ফেল
প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২৩ । ১০:২৮ | আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২৩ । ১০:২৮
নীলফামারী প্রতিনিধি

মেয়ে শাহী সিদ্দিকা ও মা মারুফা আক্তার। ছবি- সংগৃহীত
এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় একসঙ্গে অংশ নিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছিলেন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার দুই মা-মেয়ে। ফলাফল প্রকাশের পরও আলোচনায় তারা। এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে মা মারুফা আক্তার পাস করলেও তার মেয়ে শাহী সিদ্দিকা উত্তীর্ণ হতে পারেননি।
মারুফা উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের পূন্যারঝাড় গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জলঢাকা উপজেলার শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৪.৮০ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।
মারুফার বড় মেয়ে শাহী সিদ্দিকা দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে একই কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হন।
২০০৩ সালে মাছ ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলামের সঙ্গে মারুফা বিয়ে হয়। সে সময় তিনি দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০ বছরের সংসার জীবনে মারুফা চার সন্তানের মা। চার সন্তানের মধ্যে শাহী সিদ্দিকা বড়। দ্বিতীয় ছেলে দশম শ্রেণির; তৃতীয় ছেলে অষ্টম শ্রেণির এবং ছোট মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে।
এদিকে দীর্ঘ সংসার জীবনের পরও মারুফার পড়াশোনা করার ইচ্ছা দমেনি। বিয়ের ১৫ বছর পর ফের পড়াশোনা শুরু করেন অদম্য এই নারী।
২০২০ সালে বড় মেয়ের সঙ্গে পরীক্ষা দিয়ে এসএসসি পাস করেন মারুফা। এমনকি মেয়ের চেয়েও ভালো ফলাফল করেন তিনি। এবার মেয়ের সঙ্গে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েও উত্তীর্ণ হলেন।
মারুফা আক্তারের স্বামী সাইদুল ইসলাম বলেন, আমি তার (স্ত্রী) ফলাফলে খুশি। সে যতদূর পড়াশোনা করতে চায় করবে। আমার সহযোগিতা থাকবে। তবে মা ও মেয়ে একসঙ্গে পাস করলে আরও ভালো লাগত।
শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান জানান, লেখাপড়ার ইচ্ছাশক্তির কাছে বয়স কোনো বাধা নয়, মারুফা সেটাই প্রমাণ করেছেন। মারুফার এমন সাফল্য আরও অনেককে অনুপ্রাণিত করবে। আমি তার সাফল্য কামনা করি।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com