সুন্দরবনে‌ বাঘের আক্রমণে কৃষক আহত

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২৩ । ১০:২১ | আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২৩ । ১০:২১

বাগেরহাট প্রতিনিধি

হাসপাতালের বিছানায় আহত ফজলু গাজী। ছবি-সমকাল

সুন্দরবনে গরু আনতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে মো. ফজলু গাজী (৬২) নামের এক বৃদ্ধ আহত হয়েছেন। আহত ফজলু গাজীকে শুক্রবার সকালে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে বাঘের আক্রমণের শিকার হন তিনি। ডান পায়ে তার ক্ষতস্থানে অস্ত্রোপচার করতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

ফজলু গাজীর বাড়ি শরণখোলা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন উত্তর রাজাপুর গ্রামে। কৃষি কাজ ও গরু পালন করে জীবিকা নির্বাহ করেন ৬২ বছর বয়সী এই বৃদ্ধ।

ফজলুর স্ত্রী ফিরোজা বেগম জানান, তাদের বাড়ি সুন্দরবনের একদম কাছে। গত মঙ্গলবার সকালে তাদের একটি গরু শুকিয়ে যাওয়া ভোলা নদী পেরিয়ে সুন্দরবনে ঢুকে পড়ে। বেলা ১১টার দিকে ওই গরু আনতে গিয়ে বাঘের মুখে পড়েন তার স্বামী।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফজলু গাজী বলেন, বনের কিছুটা ভেতরে গিয়ে গরুর দেখা পাই। ফিরব, এমন সময় কিছু দৌড়ে আসার শব্দ পাই। সঙ্গে সঙ্গে জোরে চিৎকার করে উঠি। খালে দুই নৌকায় ১০-১২ জন মাছ ধরছিল। তারা সবাই ডাক-চিৎকার দিয়ে ছুটে আসে। এর মধ্যে বাঘ এসে আক্রমণ করে। সবার হাক-ডাকে বাঘ আবার বনে চলে যায়।

তিনি জানান, বনে প্রবেশের অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে ভয়ে কাউকে কিছু জানায়নি তার পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক দিয়ে বাড়িতে রেখে দুই দিন দেখানোর পরে বৃহস্পতিবার এক ডাক্তার জেলা হাসপাতালে তাকে ভর্তি হতে বলেন।

বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার জানান, বাঘের কামড়ে আহত ফজলু গাজী আমার চেম্বার এসেছিলেন। তার ডান পায়ের ক্ষত অনেক বেশি। সেখানে গভীর গর্ত হয়ে গেছে। পরিবারটি অনেক দরিদ্র, চিকিৎসার ব্যয় মেটানোও তাদের জন্য কঠিন। আমরা তাকে ভর্তি করে হাসপাতাল থেকে সব ধরনের সেবা দিচ্ছি। শনিবার তার পায়ের ক্ষত স্থানে অপারেশন করা হবে।

তবে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নয় বন বিভাগ। জানতে চাইলে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই ও শরনখোলা রেঞ্জের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, হয়তো অবৈধভাবে বনে প্রবেশ করায় আমাদের কিছু জানায়নি তারা।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com