টাইগারদের সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচ আজ

প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২৩ । ০০:০০ | আপডেট: ০৩ মার্চ ২৩ । ০১:৪৩ | প্রিন্ট সংস্করণ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মিরপুর বাংলাদেশের ক্রিকেটের সোনাফলা ভেন্যু। দেশের মাটিতে বড় বড় সাফল্যের সূতিকাগার এটি। নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, ভারত, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব তো মিরপুরের উইকেটেই। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের গর্বিত ভেন্যু এই শেরেবাংলা স্টেডিয়াম। উইকেটের বৈশিষ্ট্যের কারণেই হোম সুবিধা কাজে লাগাতে পারে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজের জন্য উইকেট গড়া হয়েছে স্বাগতিকদের পছন্দেই। একদিনের সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ রাখা হয়েছে হোম অব ক্রিকেটে। কে জানত সেখানেই ইংলিশরা এমন খেলে প্রথম ম্যাচ জিতে নেবে। তাই মঙ্গলবারের পরাজয় তামিমদের বুঝিয়ে দিয়েছে এই ইংল্যান্ড অন্যরকম। মৃত্যুকূপে খেলেও জয়ের ফুল ফোটাতে পারে। তাদের হারাতে হলে বাংলাদেশকেও খেলতে হবে ভালো ব্র্যান্ডের ক্রিকেট। স্কোর বোর্ড সমৃদ্ধ করতে হবে রানে, বোলিং হতে হবে আন্তর্জাতিক মানের; প্রথম ওয়ানডেতে যা অনুপস্থিত ছিল এ দুই বিভাগেই। আজ স্বাগতিকদের সামনে সেই ম্যাচ, যেখানে সব ভালো করতে হবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের বিচারে। ইংলিশদের বিপক্ষে সিরিজ বাঁচাতে এ ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই তামিমদের সামনে।

ইংল্যান্ডের শক্তির জায়গা বোলিং। বিশ্বমানের পাঁচ পেসার রয়েছে তাদের। কন্ডিশন মাথায় রেখে তিনজন স্পিনারও রেখেছে দলে। প্রথম ম্যাচে পেস ও স্পিন– দুই বিভাগকে সমান গুরুত্ব দিয়ে সাজিয়েছিল একাদশ। দারুণভাবে সফলও হয়েছে তারা। স্বাগতিকদের অলআউট করেছে ২০৯ রানে। স্কোর বোর্ডে রান কম থাকায় মানসিকভাবে এগিয়ে ছিল সফরকারীরা। ডেভিড মালান ১১৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন। যদিও ছোট পুঁজি নিয়েও লড়াই জমিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ। ৮ বল হাতে রেখে ম্যাচ জেতে ইংলিশরা। সাকিব আল হাসান, তাইজুল ইসলাম আরেকটু আঁটসাঁট বোলিং করতে পারলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারত। বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের পারফরম্যান্সও কাঙ্ক্ষিত মানের ছিল না। খেলা শেষে তাই সেই চিরাচরিত আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে ক্রিকেটারদের। ২৫ থেকে ৩০ রান কম হয়ে গেছে। আজকের ম্যাচে নিশ্চয়ই বেশি রান করার পরিকল্পনা দেওয়া হবে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে। ২৫০ থেকে ২৭৫ রানের লক্ষ্য। যারা ওয়ানডেতে ৩৫০, ৪০০ রান তাড়া করে অভ্যস্ত সেই ইংল্যান্ডের সামনে আড়াইশ রানের লক্ষ্য দেওয়াও অনিরাপদ।

ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলে রেখেছেন, প্রথম দুই ম্যাচে কোনো হস্তক্ষেপ করবেন না। অধিনায়ক তামিমের সঙ্গ এবং বাকি কোচিং স্টাফের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন একাদশ সাজাতে। তৃতীয় ম্যাচ থেকে নাটাই নিজের হাতে তুলে নেবেন তিনি। প্রথম ওয়ানডের একাদশ অপরিবর্তিত থেকে খেলতে পারে দ্বিতীয় ম্যাচে। যেখানে সাকিবের কাছে চাওয়া থাকবে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেনের কাছে চাওয়া থাকবে রান। তিনটি ৫০ ছোঁয়া বা শতরানের জুটি প্রয়োজন হবে বড় সংগ্রহ পেতে। একাদশ নিয়ে মাথা না ঘামালেও হাথুরুসিংহে গেম প্ল্যান সাজাবেন প্রথম ম্যাচের অভিজ্ঞতা থেকে। ডেভিড মালান বা মঈন আলিকে আউট করার কৌশল বের করে থাকবেন ভিডিও বিশ্লেষণ থেকে। আক্রমণাত্মক পরিকল্পনা কাজে লাগিয়ে মিরপুরে ম্যাচ জিততে না পারলে ইংলিশদের কাছে বিশ্বকাপ সুপার লিগের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার শঙ্কায় পড়বে দল। কারণ শেষ ম্যাচটি হবে চট্টগ্রামের ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে, যেখানে জশ বাটলারদের জন্য সুবিধা থাকবে বেশি; মিরপুরে সিরিজ হেরে ভারত আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেছিল চট্টগ্রামে।     


© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com