
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন
টেকনিশিয়ান নেই, উদ্বোধনের পরও চালু হয়নি ই-গেট
প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২৩ । ০৬:৪৫ | আপডেট: ০৬ মার্চ ২৩ । ০৬:৪৫
বেনাপোল প্রতিনিধি

বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ই-গেট। ছবি: সমকাল
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে ই-গেট (ইলেকট্রনিক ফটক) উদ্বোধন করা হলেও ই-পাসপোর্টধারী যাত্রীরা এ সেবা পাচ্ছেন না। টেকনিশিয়ান না থাকায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। কবে থেকে এ কার্যক্রম চলবে তাও কর্তৃপক্ষ বলতে পারছেন না। তবে আগের নিয়মে ‘একজিট এন্ট্রি সিল’ দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রীরা যাতায়াত করছেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পরিদর্শক বোরহান উদ্দিন জানান, শনিবার উদ্বোধনের পর থেকে রোববার বিকেল পর্যন্ত কোনো পাসপোর্ট যাত্রী ই-গেট ব্যবহার করেননি। কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত কোনো টেকনিশিয়ান না আসায় এখনও চালু হয়নি। তবে দ্রুত ঢাকা থেকে টেকনিশিয়ান আসবেন বলে জেনেছেন।
জানা গেছে, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, সুরক্ষা সেবা বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ই-গেট কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত। শনিবার বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে এর উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে ইমিগ্রেশন পুলিশ ই-পাসপোর্টের বিভিন্ন তথ্যাদি ওয়ার্কস্টেশনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্বল্প সময়ে যাচাই-বাছাই ও কার্যক্রম সম্পাদন করতে পারবে। এর উদ্দেশ্য নির্বিঘ্নে এবং দ্রুত যথাযথ তথ্য যাচাই করে ই-পাসপোর্টধারীদের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা। এতে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে।
প্রথম ধাপে প্রবেশপথে নিজের ছবি, তথ্য ও বারকোডযুক্ত ই-পাসপোর্টের প্রথম পৃষ্ঠা স্ক্যান করলে খুলে যাবে প্রথম গেট। দ্বিতীয় ধাপে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্যামেরাযুক্ত ফেসিয়াল রিকগনিশনের মাধ্যমে পাসপোর্টের ছবির সঙ্গে যাত্রীর মুখমণ্ডল মিললে খুলে যাবে দ্বিতীয় গেট। সার্ভার এবং সিস্টেম ঠিক থাকলে ১৮ সেকেন্ডেই শেষ হবে যাত্রীর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৮ জানুয়ারি থেকে দেশে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে বেশিরভাগ মানুষ এখনও ই-পাসপোর্টের আওতায় আসেননি। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৭০ লাখের বেশি ই-পাসপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এ জন্য ই-গেটের পাশাপাশি আগের পদ্ধতির সেবাও সচল থাকবে।
গত বছরের ৭ জুন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বহির্গমনে ১৩টি ও আগমনীতে ১৩টি ই-গেট, ১৮ নভেম্বর শাহ আমানত বিমানবন্দরে তিনটি করে এবং চলতি বছর ৮ জানুয়ারি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনটি করে ই-গেটে আধুনিক ইমিগ্রেশন সুবিধা শুরু করা হয়। এ পর্যন্ত ১ লাখ ১৫ হাজারের বেশি যাত্রী এ সেবা নিয়েছেন। বেনাপোল স্থলবন্দরের চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে দুটি করে চারটি ই-গেট উদ্বোধন করা হয়েছে।
পর্যায়ক্রমে অন্যান্য স্থলবন্দরে এই কার্যক্রম শুরু হবে। ই-গেটসেবা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই প্রথম। ই-পাসপোর্টধারীরা ১৮ সেকেন্ডে ইমিগ্রেশনের কাজ করতে পারলেও ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সময় লাগে পাঁচ থেকে আট মিনিট। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোগান্তির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। এ ভোগান্তি নিরসনে বেনাপোলে ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com