
চবিতে সমালোচনার মধ্যে আবারও অতিরিক্ত ৭ শিক্ষক নিয়োগ
প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২৩ । ০৭:০৮ | আপডেট: ০৬ মার্চ ২৩ । ০৭:০৯
চবি প্রতিনিধি

ফাইল ছবি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বিজ্ঞাপিত পদের বাইরে অতিরিক্ত নিয়োগ নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই আবারও অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এবার চারটি বিভাগে বিজ্ঞাপিত পদের বাইরে অতিরিক্ত সাতজন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত নিয়োগ বাতিলের দাবি নিয়ে শিক্ষক সমিতির চিঠির দুইদিন পরই এ অতিরিক্ত নিয়োগে আবারও উঠেছে সমালোচনা।
শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪৩তম সিন্ডিকেট সভায় এ নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়। রোববার এ সাত শিক্ষক নিজ বিভাগে যোগ দিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ২০২১ সালে ৩১ সেপ্টেম্বর উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগে চারটি, ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্সেস বিভাগে দুইটি প্রভাষক পদে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া একই বছর পরিসংখ্যান বিভাগে চারটি, নৃবিজ্ঞান বিভাগে একটি ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং(ইইই) বিভাগের পাঁচটি পদের বিজ্ঞপ্তি অর্থাৎ মোট ১৬ পদের জন্য দেওয়া হয়েছিল।
তবে শনিবার সিন্ডিকেট সভায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে মোট ২৩ জনকে। এর মধ্যে উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগে সাতজন, ইইই বিভাগে সাতজন নৃবিজ্ঞান বিভাগে দুইজন, ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগে তিনজনকে ও পরিসংখ্যান বিভাগের চারজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ চারটি বিভাগে মোট সাতজন বিজ্ঞাপিত পদের বাইরে অতিরিক্ত নিয়োগ পেয়েছেন।
গত বছর সিন্ডিকেটের ৫৩৮ সভায় শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নিয়োগ দেওয়া যাবে না এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এরপরই আবার ৫৩৯তম সভায় এ সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়। চাহিদা বিবেচনা করে বিজ্ঞাপিত পদের চেয়ে কম বা বেশি নিয়োগ দেওয়া যাবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিন্ডিকেটের এ সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা সমালোচনা হয়েছে।
গত ২ মার্চ অতিরিক্ত নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল চেয়ে উপাচার্য শিরীন আখতার বরাবর চিঠি দিয়েছিলেন শিক্ষক সমিতির নেতারা।
সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় দুই থেকে প্রায় আড়াই বছর আগে। এর মধ্যে বিভাগের শিক্ষকের প্রয়োজন বাড়তে পারে। বিভাগের চেয়ারম্যান এ প্রয়োজনীয়তা সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপন করেন। বিভাগের প্ল্যানিং কমিটি চাহিদা অনুযায়ী সুপারিশ করে। সিন্ডিকেট সেই সুপারিশের অনুমোদন করে মাত্র। সিন্ডিকেট নিয়োগ দেয় না।
অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়াকে আইনের বিরোধী বলে শিক্ষক সমিতির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, অতিরিক্ত নিয়োগ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ১৯৭৩ এর পরিপন্থী। শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত বাতিলের আবেদন আমরা জানিয়েছি। তবুও কর্তৃপক্ষ নিয়োগ দিচ্ছে। সমিতির পরবর্তী সভায় এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com