২৪ ঘণ্টা পর বাবাকে খুঁজে পেলেন এশা-তানিশা, তবে মৃত

রাজধানীর গুলিস্তানে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত কুইন টাওয়ার ভবন থেকে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এমন খবর শুনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ছুটে যান মেয়ে এশা-তানিশা। সেখানে গিয়ে তারা দেখেন- মরদেহ উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি তাদের বাবা মমিন উদ্দিন সুমন (৪৪)। এরপর কান্নায় ভেঙে পড়েন দুই মেয়ে।

মঙ্গলবার বিকেলে ওই ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ভবনের নিচতলায় ছিল মমিন উদ্দিন স্যানিটারি দোকান। ঘটনার সময় তিনি দোকানে ছিলেন। বিস্ফোরণের পর তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। মমিন উদ্দিনকে ঘটনাস্থল ও ঢামেক হাসপাতালে খুঁজতে থাকেন স্ত্রী শারমিন আক্তার ও দুই মেয়ে এশা-তানিশা। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর বুধবার বিকেলে মমিন উদ্দিন সুমনের মরদেহ উদ্ধার  করে ফায়ার সার্ভিস। 

নিহত মমিন উদ্দিন সুমন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শারমিন আক্তার বলেন, বিস্ফোরণের পর তার (মমিন উদ্দিন) মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে মমিন উদ্দিনের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ঢামেক হাসপাতালে খুঁজছি। কিন্তু পাচ্ছি না।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেয়ে এশা ও তানিশা বলেন, বাবাকে খুঁজে পাচ্ছি না। আল্লাহ যেন আব্বুকে সুস্থ রাখেন। 

ফায়ার সার্ভিস গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য ও ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক দিনমনি শর্মা বলেন,  বিস্ফোরণের প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর বুধবার ভবনের বেজমেন্ট থেকে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের একটি দল মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে সকালে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ জন। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক। ঢাকা মেডিকেলের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চি‌কিৎসাধীন রয়েছেন ২০ জন। আর বার্ন ইউ‌নিটে রয়েছেন ১১ জন।