বাসযোগ্য ঢাকার জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০৪১ সালের উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নগরায়ণ হতে হবে। বাসযোগ্য ঢাকার জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পয়ঃনিষ্কাশন, খোলা জায়গা, খেলার মাঠ থেকে শুরু করে জনসংখ্যার ঘনত্ব বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। যত্রতত্র খেয়ালখুশি মতো স্থাপনা তৈরির সংস্কৃতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।’ 

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে দুদিনব্যাপী ঢাকা উত্তর সিটি স্যানিটেশন ট্রেড ফেয়ার ২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

নাগরিকদের ইতিবাচক মনোজাগতিক পরিবর্তনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী আরও বলেন, আইন ও নিয়মকানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নাগরিকরাই উন্নত ও স্মার্ট নগরের প্রধান কারিগর।

নাগরিকদের যথাযথ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার বিষয়ে সচেতন করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সবার সচেতনতা এবং সহযোগিতা থাকলে বাসযোগ্য ঢাকা গড়া সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালে পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য ঢাকা নগরীকে পাঁচটি ক্যাচমেন্ট এলাকায় ভাগ করেন। কারণ দুর্বল পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা বাসযোগ্য ঢাকার অন্তরায়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোগ করার প্রবণতা বেড়েছে, যার ফলে দৈনিক প্রচুর বর্জ্য এবং আবর্জনা তৈরি হচ্ছে। ঢাকা নগরীতে প্রতিদিন ৬ হাজার টন বর্জ্য হয়ে থাকে। এ বর্জ্য সঠিক ব্যবস্থাপনায় আনা না গেলে বাসযোগ্য ঢাকার স্বপ্ন অধরা থেকে যাবে।

এ সময় মন্ত্রী উন্নত বিশ্বের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘জাপান, সিঙ্গাপুরের মতো দেশও একসময় এ ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল এবং তারা সফলভাবে তা মোকাবিলা করে স্মার্ট নগর গড়তে পেরেছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব বাধা-বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে আমরাও বাসযোগ্য ঢাকার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব। বাসযোগ্য ঢাকা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন সমস্যা এবং তার সমাধান আজ চিহ্ণিত। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও অংশগ্রহণের ফলে সমস্যা এবং সমাধানের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করা গেলেই আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এ সময় ঢাকার পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও সমস্যার সমাধানকল্পে প্যানেল আলোচনা হয়। দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় এতে আলোচনায় অংশ নেন ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডস এর রাষ্ট্রদূত এ্যানে ভ্যান লিউয়েন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান (সচিব) মো. আনিছুর রহমান মিঞা, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, ইউনিসেফ-বাংলাদেশ এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সেলডন ইয়েট, নগর ও পরিবেশবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব, সাবেক সচিব হেদায়েতুল্লাহ মামুন এবং বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. মো. মুজিবুর রহমান।