ভারতের কারণে জি২০ সম্মেলনে বাংলাদেশ সম্মান পেয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২৩ । ২২:৪৪ | আপডেট: ০৯ মার্চ ২৩ । ২২:৪৫

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ফাইল ছবি

জি২০ সম্মেলনে ভারতের আমন্ত্রণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নয়াদিল্লি বাংলাদেশকে সম্মান দিয়েছে বলেই বাকি দেশগুলোও সম্মান দেখিয়েছে। এটি ভারতের বন্ধুত্বের বড় নিদর্শন। ভারতের আমন্ত্রণ আমাদের জন্য বড় পাওয়া।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সদস্য না হয়েও আমন্ত্রণ পেয়েছে। জি২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছে। খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, উন্নয়ন সহযোগিতা, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা ও প্রত্যাবাসন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় বাংলাদেশ তুলে ধরেছে। 

তিনি বলেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে স্বল্প আয়ের দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ হবে। এ উত্তরণের পর বাংলাদেশের বিভিন্ন সুবিধা কর্তন হবে। পরীক্ষায় পাস করলে পুরস্কৃত করা উচিত। আমরা চেয়েছি, সুবিধা বাদ দিলেও যাতে যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়।

দিল্লি সফর ফলপ্রসূ হয়েছে মন্তব্য করে ড. মোমেন বলেন, ভারতের সঙ্গে ছোটখাটো সমস্যাসহ সীমান্তে হত্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত চায় না সীমান্তে একটি মানুষও মারা যাক। তারা আমাদের ডিজেল দেবে। ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন প্রস্তুত হয়ে গেছে। আগামী ১৮ মার্চ এ পাইপলাইন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন।

তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে সমস্যা ছিল সীমান্তে ১৫০ গজের মধ্যে স্থাপনা তৈরি করা নিয়ে। ভারত এটিতে বাধা দিত। এসব আপত্তি তারা প্রত্যাহার করেছে। ভারত বাংলাদেশকে তাদের সঙ্গে চায়। এটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী সোচ্চারভাবে বলেছেন। 

তিনি বলেন, দিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশের সমস্যা নিয়ে আলাপ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সমস্যা নিয়েও আলাপ হয়েছে। খুবই গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। আমাদের বোঝাপড়া ভালো। তারপরও বিভিন্ন লোক উস্কানিমূলক আচরণ করে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও বাড়াতে চায়। দুই দেশের পুলিশের গুলিতেই মানুষ মারা যায়; কিন্তু এগুলো সরকার করে না। এগুলো নিয়ে ভালো আলোচনা হয়েছে। 

ড. ইউনূসকে নিয়ে বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিদের চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে। এ কারণে যাঁরা বাংলাদেশকে অথবা শেখ হাসিনাকে দেখতে পারেন না, তাঁরা বিভিন্ন রকমের প্রচেষ্টা করছেন। শেখ হাসিনাকে বাদ দিতে পারলে এখানে অস্থিতিশীলতা আনা যাবে। তাঁরাই বিভিন্ন চেষ্টা করছেন। যে অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলো অলীক।

ভারত থেকে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে দেশে ফেরানো নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হন, আসুন; অসুবিধা কী? আমাদের সঙ্গে এ নিয়ে ভারতের কোনো আলাপ হয়নি। নিয়মিত প্রক্রিয়ায় এগুলো হবে। আমরা প্রতিদিন বহু কয়েদিকে বিদেশ থেকে নিয়ে আসি।


© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com