
এক রাতে অর্ধশত বিয়ে
প্রকাশ: ১১ মার্চ ২৩ । ১১:৩২ | আপডেট: ১১ মার্চ ২৩ । ১১:৩২
শেরপুর প্রতিনিধি

বিয়ের অনুষ্ঠানে বর-কনে। ছবি: সমকাল
চলতি ১৪২৯ বঙ্গাব্দের ২৪ ফাল্গুন বৃহস্পতিবার ছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার শেষদিন। সনাতন ধর্ম মতে চলতি বছর ২৪ ফাল্গুন রাত ২টায় বিয়ের শেষ লগ্ন ছিল। এ সময়ে বিয়ে না হলে আগামী বছর ১৪৩০ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাস ছাড়া কারও বিয়ে দেওয়া যাবে না- শাস্ত্রে এমন কথা বলা আছে বলে জানান স্থানীয় পুরোহিতরা। তাই এদিন শেরপুর জেলা শহরে প্রায় অর্ধশত হিন্দু বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা পুরোহিত কল্যাণ পরিষদ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে জেলা শহরে প্রায় ৩৫টি বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। একদিনে এত বিয়ে হওয়ায় অভিভাবকদের রীতিমত হিমশিম খেতে হয়েছে। পর্যাপ্ত
কমিউনিটি সেন্টার পাওয়া যায়নি। ফলে কেউ বাড়িতে কেউ বা মন্দির প্রাঙ্গণে, আবার কেউ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিয়ের আয়োজন করেছেন। তবে এসব বিয়েতে আনন্দের কমতি ছিল না। ধনী, মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত সব শ্রেণির মানুষ বরযাত্রীদের খাবার পরিবেশন করে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেন। অনেক বিয়েতে আকর্ষণীয় আলোক সজ্জা করা হয়। বর আসার পর নানা ধরনের আতশবাজি ছিল চোখে দেখার মতো।
জেলা শহরের সাতানীপাড়া এলাকার কাঞ্চন গোয়ালা তার ছোট মেয়ে পায়েলকে বিয়ে দিয়েছেন ফরিদপুরের গোয়ালন্দে। কমিউনিটি সেন্টার না পেয়ে স্থানীয় একটি স্কুল মাঠে বিয়ের আয়োজন করা হয়। এ বিয়েতে বরযাত্রী এসেছেন ৬০ জন। খাবারের মেন্যুতে ছিল পোলাও, খাসির মাংস, মুরগির রোস্ট, ডাল ও দই।
কাঞ্চন গোয়ালা বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়াতে বিয়ের অনুষ্ঠান করতে খুব কষ্ট হয়েছে। শুধু দ্রব্যমূল্য নয়, এখন পুরোহিতের সম্মানী অনেক বেশি। এক পুরোহিত সম্মানী চেয়েছিলেন ১০ হাজার টাকা। পরে পাত্রপক্ষ গোয়ালন্দ থেকে সঙ্গে করে পুরোহিত এনেছিলেন। তাই কোনো খরচ দিতে হয়নি।
জেলা পুরোহিত কল্যাণ পরিষদেও সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ চক্রবর্তী বলেন, বৃহস্পতিবার ৩৫টির বেশি বিয়ে হয়েছে। এসব বিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে হয়েছে।
জেলার বিশিষ্ট পুরোহিত সঞ্জীব চক্রবর্তী বলেন, বিয়েতে পুরোহিতদের সম্মানী একটু বেশি হয়। কারণ বর ও কনে পক্ষ উভয়ে তাদেরও সম্মানী দিয়ে থাকেন।
শেরপুর ব্রাহ্মণ সংসদের সভাপতি শ্রী কমল চক্রবর্তী বলেন, সামনে চৈত্রমাস। বিয়ে পিছিয়ে গেলে নানা সমস্যা হয়। ফলে ভালো দিনক্ষণ থাকায় এ বছর শেষ ফাল্গুন মাসের শেষ দিনটিতে শেরপুরে রেকর্ড পরিমাণ বিয়ে হয়েছে। এ সংখ্যা ৫০ এর কাছাকাছি হতে পারে।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com