ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি

নগরকান্দার ১২ যুবকের খোঁজ মিলছে না

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২৩ । ১৯:১৫ | আপডেট: ১৫ মার্চ ২৩ । ১৯:১৫

ফরিদপুর অফিস ও নগরকান্দা প্রতিনিধি

নিখোঁজ যুবকদের স্বজনদের আহাজারি। ছবি- সমকাল

লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে নৌকাডুবির ঘটনার পর ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ১২ যুবকের খোঁজ মিলছে না। এতে নিখোঁজ যুবকদের পরিবারের সদস্যরা উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন পার করছেন। তাঁরা বেঁচে আছে কিনা সেটা জানার আকুতি জানিয়েছেন অনেকে। 

লিবিয়া থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে রওনা হওয়া নৌকাটি গত রোববার বৈরী আবহাওয়ায় ভূমধ্যসাগরে ডুবে যায়। দুর্ঘটনার পর সেখান থেকে ১৭ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৩০ জন। 

নিখোঁজ যুবকরা হলেন– উপজেলার কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়নের আটকাহনিয়া গ্রামের তোরাপ মোল্যার ছেলে শফিকুল ইসলাম রাসেল (৩০), ডাঙ্গী ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের মোস্তফা মাতুব্বরের ছেলে আল আমিন মাতুব্বর (২০), সোবাহান মোল্যার ছেলে মাহফুজ মোল্যা (২২), এসকেন মোল্যার ছেলে নাজমুল মোল্যা (২৩) ও সেকেন ব্যাপারীর ছেলে আকরাম ব্যাপারী (২৭), বাশাগাড়ী গ্রামের ইছাহাক ফকিরের ছেলে স্বপন ফকির (২৭), শংকরপাশা গ্রামের সেকেন কাজীর ছেলে শামীম কাজী (২১), সরোয়ার মাতুব্বরের ছেলে বিপুল (২৫), মালেক শেখের ছেলে বিটুল শেখ (২৫), শ্রীঙ্গাল গ্রামের সলেমান শেখের ছেলে মিরান শেখ (২২), ইদ্রিস শেখের ছেলে তুহিন শেখ (২০) ও নারুয়াহাটি গ্রামের কাশেম তালুকদারের ছেলে শাওন তালুকদার (২২)। তাঁরা সবাই  স্থানীয় একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে অবৈধভাবে ইতালি যাচ্ছিলেন।

নিখোঁজ রাসেলের বাবা তোরাপ মোল্যা জানান, ছেলেকে ইতালি পাঠাতে উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের মুরাদ ফকিরের সঙ্গে ৮ লাখ টাকায় চুক্তি করেছিলেন। গত ৮ জানুয়ারি ঢাকা থেকে বিমানে দেশ ছাড়েন রাসেল। দুবাই হয়ে ১২ জানুয়ারি লিবিয়া পৌঁছান তিনি। দুই মাস লিবিয়ায় থাকার পর রোববার সাগরপথে ইতালি যেতে নৌকায় উঠেছিলেন তিনি। 

ডাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম জানান, মুরাদ একজন মানব পাচারকারী। তিনি অবৈধভাবে বিদেশে লোক পাঠিয়ে কয়েক কোটি টাকা আয় করেছেন। এ চক্রের হোতা মুরাদ ফকির পলাতক থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর সহযোগী বাশাগারী গ্রামের ইমারত মিয়া দাবি করেন, তিনি মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত নন। তবে তিনি দু-একজনের টাকা মুরাদকে দিয়েছেন।

নগরকান্দা থানার ওসি মিরাজ হোসেন বলেন, এসব বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঈনুল হক বলেন, কেউ যদি অভিযোগ করে তাহলে দালালদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com