
রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষকদের প্রতিবাদ
প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২৩ । ১৮:০৩ | আপডেট: ১৬ মার্চ ২৩ । ১৮:০৩
রাবি প্রতিনিধি

রাবিতে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষকদের মানববন্ধন। ছবি-সমকাল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাবির সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এই প্রতিবাদ জানান। 'নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষকবৃন্দ'র ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধি ও অভিভাবকরা সংহতি জানান।
মানববন্ধনে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, যখন ঘটনা ঘটে, তখন তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়, উগ্র কর্মকাণ্ড চালাই। তারপর ঠান্ডা হয়ে যাই। আবার অপেক্ষায় থাকি কোনো ঘটনার জন্য। এর বাইরে কিছু ঘটছে না। এই সবকিছু শিক্ষার অবনমনের একটি দিক। সুশিক্ষা থাকলে এই মানসিকতা তৈরি হওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না।
অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ১১ মার্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে একটি কালো দিন। এইদিন বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী রক্তাক্ত হয়েছে। আমি ২৪ বছরের বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে এত রক্তাক্তের ঘটনা দেখিনি। এত বড় ঘটনা কেন ঘটল, কারা এর সাথে সম্পৃক্ত ছিল, পুলিশ কেন গুলি চালাল এগুলো ছোট করে দেখা যাবে না। আমি চাই বিচার বিভাগে এর তদন্ত হোক। এই ঘটনায় দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করা হোক।
পুলিশের গুলি চালানোর বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া পুলিশ কীভাবে গুলি চালায়? আমাদের শিক্ষার্থীরা নির্মমভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ঘটনাগুলো কেন ঘটল? প্রশাসন কেন সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিতে পারল না? এর কারণ জানতে চাই। আগামী দিনে শিক্ষার্থীরা আবার রক্তাক্ত হোক এটা প্রত্যাশা করি না। শিক্ষাঙ্গন নিরাপদ থাকুক এবং লেখাপড়ার একটি সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকুক এটাই চাই।
রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ বলেন, উপাচার্য সরে আসার পর বিনোদপুরে ক্যাম্পাসের পুলিশ টিয়ারশেল, গুলি ছুড়েছে। তারা এটা কেন ছুড়ল? ক্যাম্পাসে একজন পুলিশ প্রবেশ করলে, একটা গুলিও যদি ছুঁড়ে, সেক্ষেত্রে প্রশাসনের অনুমতি লাগবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, এই অনুমতি তারা দেয়নি, পুলিশ প্রশাসনও পরিষ্কার করল না তাঁরা কার নির্দেশে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালাল। বিনোদপুরে সেদিন ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে ক্ষমতা চর্চার একটি বিষয় ছিল। সেই জায়গায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর হোসেন বলেন, তুচ্ছ ঘটনা থেকে এত বড় ঘটনার সূত্রপাত। এই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন তাচ্ছিল্য করা হলো? এর পেছনে কাদের ইন্ধন রয়েছে, কারা সুবিধাভোগী তা খুঁজে বের করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অভিভাবক মাহমুদ জামাল কাদেরী, রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আবদুল মজিদ অন্তর প্রমুখ।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com