
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানের ব্যানারে নেই এমপির নাম
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পেটালেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২৩ । ০০:০০ | আপডেট: ১৮ মার্চ ২৩ । ০১:৫৮ | প্রিন্ট সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে আয়োজিত কর্মসূচির ব্যানারে স্থানীয় এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মোমিন মণ্ডলের নাম না থাকায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদককে মারধর করেছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। গতকাল শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের ভেতরেই এ ঘটনা ঘটে। আহত কামাল আহম্মেদকে তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর বেলকুচিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নেতাকর্মীরা জানান, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও আধিপত্য নিয়ে এমপি আব্দুল মোমিনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব রয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রীপত্নী আশানুর বিশ্বাসের। বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানের ব্যানারে এমপির নাম উল্লেখ করা হয়নি। এ নিয়ে আশানুর বিশ্বাস ও তাঁর জামাতা উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুলের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয় এমপি ও তাঁর পক্ষের। ওই সময় আশানুরের পক্ষের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কামাল বাগ্বিতণ্ডায় জড়ালে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে এমপির পক্ষ।
সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ফেরার পথে উপজেলার আলহাজ সিদ্দীক স্কুলের সামনে উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ও তাঁর সহোদর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজার সঙ্গেও হইচই করেন এমপি সমর্থিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। বিকেলে আশানুর বিশ্বাস এবং এমপি মোমিন আলাদা কর্মসূচি পালন করেন।
এ বিষয়ে আহত কামাল আহম্মেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কর্মসূচির ব্যানারে এমপির নাম নেই– এমন অভিযোগ তুলে এমপির সামনেই তাঁর সমর্থিত ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী আমাকে বেধড়ক মারধর করে।
আশানুর বিশ্বাস বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কর্মসূচির ব্যানারে আয়োজক হিসেবে শুধু উপজেলা আওয়ামী লীগ লেখা হয়। এমপির নাম না থাকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাঁরই ইন্ধনে কামালকে আমাদের সামনে মারধর করে। বিষয়টি নিয়ে খুব বিব্রত ও মর্মাহত হয়েছি।
এমপি আব্দুল মোমিন মণ্ডল সমকালকে বলেন, সাবেক মন্ত্রীপত্নী আশানুর বিশ্বাস ও তাঁর জামাতা উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুল সুযোগ পেলে প্রায়ই আমাদের সঙ্গে বেয়াদবি করার চেষ্টা করেন। শুক্রবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে শাশুড়ির ইন্ধনে কামালকে দিয়ে আমার সঙ্গে বেয়াদবির চেষ্টা করে উপজেলা চেয়ারম্যান সাজেদুল। উপস্থিত নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিক বিষয়টির তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিন হাসান রকি বলেন, আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সকালে এমপির সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুল বাগ্বিতণ্ডা ও বেয়াদবির চেষ্টা করেন। সাধারণ নেতাকর্মীরা বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বেলকুচি থানার ওসি আসলাম উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। পুলিশ তাৎক্ষণিক বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল বলেন, বেলকুচির পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। আশা করছি, কোনো সমস্যা হবে না।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com