
ডেন্টাল ক্যাভিটি
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২৩ । ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ডাক্তারবাড়ি ডেস্ক

তানভীরের দাঁতে বেশ ক'দিন হলো সাংঘাতিক ব্যথা। ডেন্টিস্টের কাছে জোর করে নিয়ে যাওয়া হলে জানা গেল, দাঁত ব্যথার মূলে রয়েছে ক্যাভিটির সমস্যা। প্রায় দিনই গুচ্ছের চকোলেট, মিষ্টি খেয়ে দাঁত ব্রাশ না করেই শুয়ে পড়ে ও। আলস্যের জন্য ওরাল হাইজিনও মেনটেন করে না ঠিকমতো। কথায় আছে, দাঁত থাকতে মানুষ দাঁতের মর্যাদা বোঝে না। তবে ছোটবেলা থেকেই দাঁত সম্পর্কে যত্নবান হলে কিন্তু এই ধরনের সমস্যায় ভুগতে হবে না।
কীভাবে হয় ক্যাভিটি?
সাধারণত বাচ্চাদের ছয় মাস পর থেকে দুধের দাঁত উঠতে শুরু করে। দাঁত বেরোলে নানা রকমের ব্যাক্টিরিয়া ও লালা বা স্যালাইভার কনট্যাক্টে আসতে শুরু করে, তখন থেকেই ক্যাভিটি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যেমন, ছোট বাচ্চারা দুধ খায় এবং দুধে উপস্থিত ল্যাকটোজ ব্যাক্টিরিয়াল রিঅ্যাকশনে ভেঙে দাঁতের সঙ্গে মিশে ক্যাভিটির সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। অধিকাংশ সময় রাতে বাচ্চারা দুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। নিচের পাটির দাঁত ঢাকা থাকে বলে ওপরের পাটির দাঁতের চেয়ে কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক সময় বাচ্চাদের মধ্যে দেখা যায় যে স্যালাইভা বা ব্যাকটেরিয়াল রিঅ্যাকশনে সব কটি দাঁতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। একে বলা হয়, র্যাম্পেন্ট কেরিজ।
দাঁতে ক্যাভিটির সমস্যা একটি মাল্টিফ্যাক্টোরিয়াল ডিজিজ। অর্থাৎ এর অনেক কারণ আছে। যেমন, ব্যাক্টিরিয়াল রিঅ্যাকশন, দাঁতের গঠন, দাঁতে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ ইত্যাদি। অনেকের স্যালিভা চটচটে হয়, যা দাঁতে বেশি আটকে থাকে এবং তা ক্যাভিটির সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়। তা ছাড়া, কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেয়ে ভালো করে মুখ না ধোয়াও ক্যাভিটির অন্যতম কারণ। খাবারের থেকে মুখে জমে থাকা অ্যাসিড দাঁতকে দুর্বল করে দেয়। দাঁতের বাইরের অংশকে বলে এনামেল, তার পরের অংশকে বলে ডেন্টিন এবং সবচেয়ে ভেতরের অংশকে বলে পান্ন। এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হলে তেমন কোনো সেনসেশান হয় না, ডেন্টিনে হলে অল্প ব্যথা হয়। পাল্প ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মানে নার্ভ পর্যন্ত সমস্যাটা চলে গেছে। তখনই দাঁতে যন্ত্রণা শুরু হয়।
লক্ষণ
দাঁতে ক্যাভিটি হলে রং বদলে যায়, অর্থাৎ কালচে, হলদেটে বা খয়েরি রং ধরে যায়। তা ছাড়া দাঁতের সারফেস রুক্ষ হয়ে যাওয়া, দাঁতে ক্র্যাক দেখা দেওয়াও ক্যাভিটির সিমটম। যত ক্যাভিটির ডেপথ বাড়তে থাকবে, তাতে খাবারের কণা জমতে থাকবে। যদি বাচ্চা বলে যে মাঝেমধ্যো দাঁতে খাবারের কণা ঢুকলে তখনই দাঁত ব্যথা করে, না হলে নয়, তখন বুঝতে হবে যে ডেন্টিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খুব বেশি যন্ত্রণা হওয়া মানে পাল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।v
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com