পানির অতি ব্যবহারে বিশ্ব সংকটের পথে

বৈশ্বিক পানি সংকট ও পানির অতি ব্যবহার নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে জাতিসংঘ। বুধবার জাতিসংঘের প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে, যত্রতত্র ব্যবহারের ফলে পানির অভাবের আসন্ন ঝুঁকি ও জলবায়ু সংকটের ঝুঁকিতে রয়েছে বিশ্ব। বিশ্ব অতি উন্নয়ন ও পানির অতি ব্যবহারের কারণে বিশ্ব এক ভয়াবহ পথের দিকে এগোচ্ছে। খবর বিবিসর।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, পানি মানবতার প্রাণশক্তি, যা অপরিমিত ব্যবহার দূষণ ও অনিয়ন্ত্রিত জলবায়ু দূষণের কারণে ক্রমাগত নিঃশেষ হয়ে যায়।  

ইউএন ওয়াটার ও ইউনেস্কো এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে আরও সতর্ক করা হয়েছে, পানির অতি ব্যবহার ও দূষণের কারণে ঘাটতি স্থানিক হয়ে উঠেছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মৌসুমি পানি সংকট বাড়িয়ে দেবে।

এই প্রতিবেদনের প্রধান রচয়িতা রিচার্ড কনর বলেন, বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ এখন এমন জায়গায় ব্যবহার করছে, যেখানে তীব্র পানি সংকট রয়েছে। আমাদের প্রতিবেদনে আমরা বলেছি, সাড়ে তিন বিলিয়ন লোক বছরে অন্তত এক মাস পানির সমস্যায় থাকে। আমাদের বিশ্বে পর্যাপ্ত পানি রয়েছে। তবে আমরা যদি এর সঠিক ব্যবহার করতাম, তবে গত কয়েক দশকে পানির সংকট তীব্র হতো না।

সোমবার আইপিসিসির বিশেষজ্ঞ প্যানেলের প্রকাশ করা জাতিসংঘের সর্বসাম্প্রতিক জলবায়ু প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখন বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা কমপক্ষে বছরের নির্দিষ্ট একটি সময়ে তীব্র পানি সংকটের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যায়।

জাতিসংঘের আরও একটি প্রতিবেদনে পানি সংকট দিন দিন তীব্র হয়ে ওঠার কথা বলা হয়েছে। গত সপ্তাহে প্রকাশিত জাতিসংঘের জলবায়ু প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক কথায় বলতে গেলে, বিশ্বের অর্ধেক মানুষকে বর্তমানে বছরে কোনো না কোনো সময়ে তীব্র পানি সংকটের মধ্যে কাটাতে হয়।

রিচার্ড বলেন, বৈশ্বিক পানির জোগানের কথা বলতে গেলে বলতে হয়, অনিশ্চয়তা বাড়ছে। যদি আমরা এ সংকটের সমাধান না করি তবে নিশ্চিতভাবে এটি বৈশ্বিক সংকটে পরিণত হবে।

১৯৭৭ সালে জাতিসংঘের প্রথম পানি সম্মেলনের আগে থেকেই এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়ে আসছে। গতকাল বুধবার নিউইয়র্কে শুরু হতে যাওয়া তিন দিনব্যাপী পানি সম্মেলনে হাজারো অতিথি অংশ নেবেন।