
অনুগল্প সংখ্যা: ছোট প্রাণ, ছোট ব্যথা
তুমি-আমি খুনসুটি
প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২৩ । ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
শফিক শাহরিয়ার
মেঘ না থাকলে আকাশের পরিপূর্ণ শোভা বোঝা যায় না। মেঘ আছে বলেই আকাশটা এত সুন্দর। আকাশে মেঘ কখনও কখনও লুকোচুরি খেলায় মেতে ওঠে। মেঘের পর আসে বৃষ্টি কিংবা ঝড়। আবার ঝড়ের বেগে মেঘ ছুটে চলে দিগ্বিদিক। জীবনেও তেমন। জীবনে খুনসুটি না থাকলে প্রেমের সুখ বোঝা দায়। এতেই প্রেম সুন্দর। খুনসুটি প্রেমের ছোঁয়ায় এগিয়ে যায় না বলা প্রেমের গল্প। আমাদের গল্পের শুরুটাও এমন। সাজানো-গোছানো অতুল প্রেম। চলতে চলতে মাঝখানে যত প্রেম বাড়ে, ততই বাড়ে খুনসুটি। দুই মিলে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধেছে দুটি জীবন। কখনও রাগ, কখনও অভিমান। কমবেশি রাগ থাকলে সহজেই কোনো একজন পোষ মানিয়ে যায়। কিন্তু আমাদের সেখানেই অমিল।
ইসরাত রাগলে বারবার তুই শব্দটি ব্যবহার করে। এই তুই বন্ধুত্বের তুই নয়, তাচ্ছিল্যের তুই। আমার বেশ রাগ হয় শুনে। তখন মনে হয়, আমি যেন পৃথিবীর সবচেয়ে রাগী মানুষ। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি; কিন্তু রাগটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। এটা আমার বদঅভ্যাস। কিন্তু ও কিছুটা সহনশীল। আর এখানেই আমাদের মিল-অমিল। অথচ দুটি জীবনে ছিল কত হাসি, কত গল্প! ভাবলেই স্মৃতিগুলো ছবি হয়ে কথা বলে। আমি গভীর রাতে গল্পের ডায়েরি খুলে বসলাম। অনেক ভাবনা-চিন্তা করলাম। কীভাব রাগটাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়! ভাবতে ভাবতে ভোরের হলো।
কুয়াশা ঘেরা সকাল। আকাশের সূর্যটা কুয়াশার সঙ্গে বারবার লুকোচুরি খেলছে। আমি দেখছি কার শক্তি বেশি? সূর্যের নাকি কুয়াশার? খেলা দেখতে দেখতে কিছুক্ষণ পর পুবাকাশ হেসে উঠল। আমিও নিজেকে গুছিয়ে নিলাম। যেভাবেই হোক ইসরাতের রাগ ভাঙাব। কিন্তু কীভাবে? সেটা কিছু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। আজ আমি ও ইসরাত মুখোমুখি। এক পর্যায়ে ইসরাত তুই তুই শুরু করল। রাগ বেড়ে গেল কিন্তু এবার আমি নাছোড়বান্দা। সহজে রাগ নিয়ন্ত্রণ করলাম। ইসরাত তুই তুই বলে ডাকে। আর আমি আপনি আপনি বলি। এভাবে চললো কিছুক্ষণ। অবশেষে ইসরাত নিজের ভুল বুঝতে পেরে বলল, তুমি বলেই ডাকব। তুমিতেই প্রেম সুন্দর।
সুহৃদ নওগাঁ
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com