
সড়ক দখল করে পণ্য ওঠানামা
প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২৩ । ০০:০০ | আপডেট: ৩০ মার্চ ২৩ । ১৬:১৭ | প্রিন্ট সংস্করণ
মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

ধনবাড়ী-কেন্দুয়া সড়ক দখল করে ট্রাকে পণ্য ওঠা-নামা করায় যানজট সমকাল
সড়ক দখল করে ভারী গাড়ি দাঁড় করিয়ে মালপত্র ওঠানামা করা হয় প্রতিনিয়ত। এ কারণে ভোগান্তিতে রয়েছে সড়কে যাতায়াতকারী মানুষ। দুই মিনিটের সড়ক পাড়ি দিতে অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এ অবস্থা ধনবাড়ী-কেন্দুয়া সড়কে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাস টার্মিনাল ও ট্রাাফিক পুলিশ না থাকা এবং নানা অব্যবস্থাপনার কারণে যানজট তাদের নিত্যসঙ্গী। সড়কে দিনভর ট্রাক রেখে মালপত্র খালাস ও ফুটপাত দখল যানজটের প্রধান কারণ। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে অতিরিক্ত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা।
গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ধনবাড়ী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন কেন্দুয়া সড়কের পাশে ১৫ থেকে ২০টি সবজি ও ধানের আড়ত। এ ছাড়া রয়েছে চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত কয়েকটি ক্লিনিক, হোটেলসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তারাও ফুটপাত দখল করে রেখেছে। আড়ত মালিকরা সড়কে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান রেখে দিনভর খালাস করছে মালপত্র। এতে আরও লম্বা হচ্ছে যানজট। বিপাকে পড়ছে শিক্ষার্থীসহ অনেকে।
পথচারী কবির হোসেন বলেন, ‘এ সড়কের প্রতিটা দোকানের সামনে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো নজরদারি না থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সবাই।’
যানজট নিয়ে কথা হয় সাকিনা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তন্নী আক্তার ও সুমাইয়া জাহানের সঙ্গে। তাদের ভাষ্য, যানজটের কারণে স্কুলে পৌঁছাতে নির্দিষ্ট সময়ের বেশি লেগে যায়। এ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক থেকে ট্রাক ও কাঁচামালের আড়ত দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার দাবি তাদের।
সড়কে ট্রাক রেখে মালপত্র ওঠানামা বিষয়ে কথা হয় কেন্দুয়া সড়কের মেসার্স রিতু এন্টাইপ্রাইজের মালিক আজহার আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ট্রাকে পণ্য ওঠানামা করতে সময় লাগে মাত্র ৩৫ মিনিট। সামান্য এ ভোগান্তি কিছু নয়। আমি শুধু একাই না; সব ব্যবসায়ীই এ কাজ করছে।’
ধনবাড়ী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল হাই বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা কোনো কথা শোনেন না। অনেকবার তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে।’
পৌর মেয়র মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকলের ভাষ্য, দোকান মালিকদের সতর্ক করা সত্ত্বেও পণ্য খালাস করে। ফুটপাত উদ্ধারে কাজ শুরু করা হবে।
ইউএনও আসলাম হোসাইনের দাবি, কিছুদিন আগে অভিযান চালানো হয়। পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com