ধুলাবালি এড়িয়ে চলুন

প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২৩ । ০০:০০ | আপডেট: ০১ এপ্রিল ২৩ । ১২:৩৩ | প্রিন্ট সংস্করণ

ডা. আবু রায়হান

শ্বাসকষ্টজনিত কারণে সাধারণত অ্যাজমা বা হাঁপানির সৃষ্টি হয়। হাঁপানি মানুষের দেহের এক অসহনীয় ও যন্ত্রণাদায়ক ব্যাধি। এ শ্বাসকষ্টের উপদ্রব হয় নানা রকম অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী অ্যালার্জেনের কারণে। অ্যালার্জেনগুলো হচ্ছে– পুরোনো ধুলাবালি, ফুলের রেণু, মাইটের মল, পরিবেশের ধুলা, পোষা প্রাণীর লোম ইত্যাদি। অ্যালার্জিজনিত হাঁপানির একটি প্রধান কারণ হচ্ছে ধুলা।  মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে ধুলাবালি এমন এক বিরক্তিকর জিনিস, যা এড়িয়ে চলা সম্ভব নয়। বাসাবাড়িতে বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা ধুলাবালি, অফিসের খাতাপত্র বা ফাইলে জমে থাকা ধুলা এবং রাস্তাঘাটে প্রতিনিয়ত যে ধুলা উড়ছে তা হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের প্রধান উদ্রেককারী। ধুলাবালি মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে শ্বাসযন্ত্রে প্রবেশ করে শ্বাসকষ্টের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। অন্য অ্যালার্জেনের চেয়ে ধুলা খুব সহজে নিঃশ্বাসের সঙ্গে মানুষের ফুসফুসে প্রবেশ করতে পারে। ফলে খুব দ্রুত সর্দি-কাশি  এবং শ্বাসকষ্টের সৃষ্টি হয়। ধুলা বা ময়লা হাঁপানির জন্য ক্ষতিকর। কারণ এতে মাইট, ফুলের রেণু, তুলার আঁশ, পোষা প্রাণীর লোম, ব্যাকটেরিয়া এবং বিভিন্ন প্রকার ছত্রাক মিশে থাকে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাইটের কারণেই প্রধানত ধুলাবালি অ্যাজমা রোগীদের জন্য বিপজ্জনক। মাইটের শরীর থেকে নির্গত মল, লালা, রস ধুলার সঙ্গে মিশে মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে দেহে প্রবেশ করে অ্যালার্জির সৃষ্টি করে। এ কারণে ধুলাজনিত অ্যালার্জির কারণে অ্যাজমা রোগীর পরিমাণ বেশি। গ্রামের তুলনায় শহরের বেশিরভাগ লোক এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
শহরে দূষিত বায়ুর কারণে এ ধরনের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট থেকে বাঁচতে ধুলাবালিযুক্ত পরিবেশ এড়িয়ে চলতে হবে। ঘর পরিষ্কার এবং বিছানাপত্র ঝাড়ু দেওয়ার সময় মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাইট বেড়ে ওঠার উপযুক্ত পরিবেশ যাতে সৃষ্টি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের দেশেও এখন হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে অনেক যুগোপযোগী পদ্ধতি এবং ওষুধ রয়েছে। তাই এ রোগ হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।  v
[বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক]

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com