৯ লাখ টাকার সৌদি ‘রিয়াল’ হয়ে গেল কাগজ, পাঁচ প্রতারক গ্রেপ্তার

রাজধানীতে এক চিকিৎসককে সৌদি আরবের মুদ্রা রিয়াল দেওয়ার নামে ৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। সরল বিশ্বাসে তাঁদের কাছ থেকে নেওয়া ‘রিয়ালের ব্যাগ’ খুলে ভুক্তভোগী পান গামছায় মোড়ানো কিছু কাগজ। বোনের হজ উপলক্ষে রিয়াল কিনেছিলেন ভুক্তভোগী। অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রটির পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বনানী থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো– মিরাজ তালুকদার, আহাদ শেখ, হায়দার মৃধা, মফিজুল মিয়া ও ইমারাত মোল্লা।

বৃহস্পতিবার ঢাকার বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান চালানো হয়।

বনানী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ডা. এটিএম মাহবুবুল আলম (ছদ্মনাম) গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। পথে একজন তাঁর কাছে জানতে চান, সৌদি রিয়াল কোথায় ভাঙানো যায়?

তিনি একটি মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে দেন। তখন ওই ব্যক্তি তাঁকেও সঙ্গে যাওয়ার অনুরোধ করেন। সেখানে পৌঁছে ১০০ রিয়াল বদলে টাকা নেয় ওই ব্যক্তি।

সেখান থেকে বের হয়ে জানায়, তার কাছে অনেক রিয়াল আছে। মানি এক্সচেঞ্জের চেয়ে কম দামে ৯ লাখ রিয়াল ৯ লাখ টাকায় দিতে পারবে।

ওই চিকিৎসকের বোন হজে যাবেন। সেখানে রিয়ালের দরকার হওয়ায় কিনতে চান।

পরে ১ মার্চ সেই ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে রিয়াল নেওয়ার জন্য কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ে যেতে বলেন। তিনি সেখানে গেলে আগের ব্যক্তির সঙ্গে আসা দুজন তাঁকে একটি ব্যাগ দেয়। তাঁরা জানায়, ব্যাগের মধ্যে ৯ লাখ রিয়াল আছে। তিনি সরল বিশ্বাসে ব্যাগটি নিয়ে নগদ ৯ লাখ টাকা দেন। পরে বাসায় গিয়ে ব্যাগটি খুলে ভেতরে গামছা দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় কিছু কাগজ দেখতে পান। প্রতারিত হওয়ায় তিনি বনানী থানায় মামলা করেন।

ওসি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নূর উদ্দিন ও এসআই প্রিয়তোষ চন্দ্র সরকার তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করেন। এরপর ২১ মে প্রথমে গোপালগঞ্জ থেকে লিয়াকত নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মিরাজ, আহাদ, হায়দার, মফিজুল ও ইমারাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।