নয়নজুড়ী খাল এখন আর চোখ জুড়ায় না

বইজ্যাখালী গেট এলাকায় নয়নজুড়ী খাল দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে এসএ টাওয়ার নামে পাঁচতলা ভবন সমকাল
রাউজান (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৪ | ২১:১১
দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর শাখা খাল নয়নজুড়ী খাল। খালটির অবস্থন চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের দক্ষিণ পাশঘেঁষে। নোয়াপাড়া কলেজ এলাকা থেকে শুরু হওয়া এ খালটি মিশেছে মদুনাঘাট সেতু সংলগ্ন হালদা নদীর সঙ্গে। রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিদুয়ানুল ইসলাম জানান, নয়নজুরী খালটির প্রশস্ত কোথাও ১০০ ফুট, আবার কোথাও ৭০ ফুট। প্রভাবশালীদের দখলের কারণে খালটির কোনো কোনো অংশ ১০-২০ ফুটে ঠেকেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, খালের দুই পাড়ে গড়ে উঠেছে বহুতল ভবন। কাপ্তাই সড়কের পাশের অংশে খালের পাড় দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে দোকান। খালের দক্ষিণ অংশেও গড়ে উঠেছে বেশকিছু বহুতল ভবন। বইজ্যাখালী গেট সংলগ্ন এলাকায় নয়নজুড়ী খালের দক্ষিণ পাড়ে সাইফুদ্দিন গড়ে তুলেছেন এসএ টাওয়ার নামে পাঁচতলা বিশিষ্ট বহুতল ভবন। এসএ টাওয়ার নির্মাণে প্রায় ৭০ ফুট খাল ভরাট করা হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এতে খালের পানিপ্রবাহ বধাগ্রস্ত হচ্ছে।
সাইফুদ্দিনের অবৈধ দখলের বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয় উপজেলা প্রশাসনের। গত ১৬ জুলাই বিকেলে সরেজমিন পরিদর্শনে অবৈধ দখলপূর্বক খাল ভরাট করে ভবন নির্মাণের সত্যতা পেয়েছেন বলে জানান রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রিদুয়ানুল ইসলাম। তার সঙ্গে সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুর জব্বার সোহেল। তিনিও একই কথা বলেন।
অভিযোগ রয়েছে, উরকিরচর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে হালদা নদীর শাখা খাল অবৈধভাবে দখলে নিয়ে ভরাট করেছেন সাইফুদ্দিনসহ আরও কয়েকজন ব্যক্তি।
রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রিদুয়ানুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ‘খাল দখল করে কিছু লোক যে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন সেটার সত্যতা পেয়েছি। আমি রাউজানের সংসদ সদস্যকে বিষয়টি তাৎক্ষণিক ফোনে অবহিত করেছি। তিনি খালটি দখলমুক্ত করতে আমাকে নির্দেশনা দিয়েছেন। এমপির নির্দেশে অবৈধ দখলদারদের তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছি। আগামী এক মাসের মধ্যে খালটি পরিমাপ করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।’