সাক্ষাৎকার : তানজিব হোসেন
ক্ষমতা থাকলেও নানা সীমাবদ্ধতা রয়েছে সিডিএর
তানজিব হোসেন
সমকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ২৩:৩৮
খাল ও নালা নর্দমায় বহুতল ভবন গড়ে ওঠার কারণ প্রসঙ্গে সিডিএর অথরাইজড অফিসার তানজিব হোসেন বলেন, ‘নগরের গুরুত্বপূর্ণ একটি সংস্থা হচ্ছে সিডিএ। এটি তদারকি করার জন্য ৬০ লাখ নগরবাসীর এ শহরে যে সংখ্যক লোকবল দরকার, তার অর্ধেকও নেই আমাদের। এ জন্য আইন মেনে কাজ পরিচালনা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। এটির অপব্যবহার করে অনেকেই গড়ে তুলছেন বহুতল ভবন।’ ইমারত নির্মাণের আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা, ২০০৮ অনুযায়ী নগরে ভবন নির্মাণের সময় আটটি বিষয়ে তদারকি করবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। কিন্তু আমরা এটি সঠিকভাবে করতে পারছি না। অনেক সময় পরিস্থিতির কারণেও নমনীয় হতে হয় সিডিএকে।’
নগরের বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় (ড্যাপ) খালের পাড় থেকে ১২ ফুটের মধ্যে কোনো ধরনের স্থাপনা করা যাবে না বলে নির্দেশনা রয়েছে উল্লেখ করে অথরাইজড অফিসার তানজিব আরও বলেন, ‘কাগজে কলমে এসব কাজ তদারকির দায়িত্ব সিডিএর। অবৈধভাবে যাতে কেউ ভবন তুলতে না পারেন, সেটিও দেখার দায়িত্ব আমাদের। কিন্তু অনেক সময় রাজনৈতিক চাপ থাকে। থাকে পরিস্থিতির বিবেচনাও। এ জন্য খালপাড়ে হয়েছে বহুতল ভবন। নালার পাড়ে হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ও। এগুলোতে আমাদেরও দায় আছে। তবে সিডিএর অনেক সীমাবদ্ধতাও রয়েছে।’ নগরীর চকবাজার এলাকায় কাগজপত্র ছাড়া সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর পরিবারের ছয় তলা ভবন ওঠা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি নিয়ে কথা উঠেছে এখন। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করছি আমরা। অনেক আগে এ ভবন উঠেছে। আমি তখন দায়িত্বে ছিলাম না।’ নালার ওপর প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন ওঠা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের কাজ হচ্ছে সরকারের আইন বাস্তবায়ন করা। কিন্তু তারাই যদি নালার ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন করে, তাহলে জনগণের কাছে ভুল বার্তা যায়। আমরা এ অবৈধ অংশ এরই মধ্যে ভেঙে ফেলেছি। আরও যেসব অবৈধ ভবন নালা ও খালের ওপর গড়ে উঠেছে, সেগুলোও ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে অনেকগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’
- বিষয় :
- সাক্ষাৎকার