পোর্ট সিটি ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম বিভাগের মিলনমেলা
প্রাণের সঙ্গে প্রাণ মেলালেন তারা
পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মিলনমেলায় অতিথিদের সঙ্গে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সমকাল
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | ২২:৩১
কেউ মঞ্চ সাজাচ্ছেন। আবার কেউ ব্যানার-ফেস্টুন লাগাতে ব্যস্ত। কেউ সাজাচ্ছেন ফটো বুথ। ভেন্যুর ভেতরে চলছে সাউন্ড চেক। সাংস্কৃতিক দল ব্যস্ত নাচ-গানের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে। এদিকে চলছে ভরপুর রান্নার আয়োজন। এর মধ্যে অনুষ্ঠানে একে একে আসতে শুরু করেন সবাই। মেয়েদের কেউ পরেছেন বাহারি রঙিন শাড়ি। ছেলেরা পরেছেন পাঞ্জাবি। বেলা গড়াতেই একে একে সবাই এসে হাজির। দীর্ঘদিন পর বন্ধু, ছোট ভাই, বড় ভাই, শিক্ষকসহ সবার সঙ্গে দেখা। যেন পুরো স্মৃতিগুলো ভেসে উঠছে। দীর্ঘদিন পর দেখা হওয়ায় বন্ধুদের সঙ্গে ছবি তুলতেও ভুল করছেন না কেউ। আয়োজনের এমন কর্মযজ্ঞ ছিল নগরীর ইডেন প্যালেস কমিউনিটি সেন্টারে। গত শুক্রবার চট্টগ্রামের পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (পিসিআইইউ) সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম বিভাগের ২৭তম ব্যাচের মিলনমেলা বসেছিল এখানে, যার নাম ছিল জার্নালিজম ফেস্ট ৫.০-এর অংশ। এটি ছিল বিভাগের পঞ্চম আসর।
বেলা ১১টায় অনুষ্ঠানস্থলে এসে উৎসবের উদ্বোধন করেন পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরল আনোয়ার। এবারের ফেস্টে বিভাগের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভাগের বর্তমান-প্রাক্তন শিক্ষকসহ পেশাগত নানা শ্রেণির অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম শিক্ষার্থীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং গণমাধ্যমের প্রতি তাদের আগ্রহ জাগ্রত করার লক্ষ্যে এ উৎসব আয়োজন করা হয়। সাংবাদিকতা পেশার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে আয়োজিত বিশেষ সেমিনারে বক্তব্য রাখেন– বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার শিক্ষক, সাংবাদিক, এনজিও ব্যক্তিত্ব, জনসংযোগ কর্মকর্তা ও আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকরা। দিনব্যাপী এ আয়োজনে ক্যারিয়ার টক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কনসার্ট ও র্যাফেল ড্রর আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধনী বক্তব্যে পিসিআইইউর উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরল আনোয়ার বলেন, ‘গণমাধ্যম বর্তমান সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ধরনের উৎসব শিক্ষার্থীদের গণমাধ্যম সম্পর্কে আরও গভীর ধারণা এবং তাদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবে।’
দৈনিক সমকালের আঞ্চলিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান সরোয়ার সুমন বলেন, ‘একসঙ্গে কাজ করে আমরা সাংবাদিকতার নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারি। সমস্যাগুলো তুলে ধরতে, সমাধানের পথ খুঁজতে এবং মানুষের সঙ্গে মানুষের সংযোগ স্থাপন করতে আমরা কাজ করব। এ সময় তিনি পিসিআইইউর সাংবাদিকতা বিভাগের দু’জন শিক্ষার্থীর সমকালে কন্ট্রিবিউটর হিসেবে কাজ করার সুযোগ আছে বলে জানান।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও প্রটোকল অফিসার আজিজ আহমেদ বলেন, ‘জার্নালিজম ফেস্ট শুধু একটি ইভেন্ট নয়, এটি সাংবাদিকতা, যোগাযোগ এবং জনসংযোগের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ার একটি প্ল্যাটফর্ম।
ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশনের (ইপসা) সহকারী পরিচালক এবং ফোকাল পারসন অ্যাডভোকেসি মুহাম্মদ আলী শাহীন বলেন, ‘জার্নালিজম ফেস্টের মতো আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে নেটওয়ার্কিং বাড়ে। নিঃসন্দেহে দারুণ একটি উদ্যোগ এটি। একসঙ্গে কাজ করে আমরা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারি।’
পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান জুয়েল দাশ বলেন, ‘জার্নালিজম ফেস্ট আমাদের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের বন্ধন আরও দৃঢ় করবে আশা করছি।’ এ সময় অতিথিদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন– পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দিলরুবা আক্তার, সিনিয়র লেকচারার প্রশান্ত কুমার শীল, প্রভাষক আকিব উল ওয়াদুদ,
সহকারী প্রক্টর ও প্রভাষক তাসলিমা আক্তার ইরিন, প্রাক্তন শিক্ষক টিপু সুলতান। বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির লেকচারার ও চেয়ারম্যান ইনচার্জ ইয়াসির সিলমি, সহকারী প্রক্টর ও প্রভাষক সারোয়ার কামাল,আর্টের চেয়ারম্যান মামুন চৌধুরী বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আরিফ, বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা)মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বিপ্লব,আরডিএম গ্রুপের চেয়ারম্যান রাকিবুল আলম চৌধুরী, এসপাইরিং বাংলাশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও সাদাত রহমান চৌধুরী, স্কুল অল্টারনেটিভের কো অর্ডিনেটর মিশকাতুল আজম, ডেলটা ইমিগ্রেশন এর সিইও মোহাম্মদ আলমগীর প্রমুখ।
আয়োজনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিল স্কুল অলটারনেটিভ ও সমগ্র বাংলাদেশ। এসময় স্কুল অল্টারনেটিভের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল আলম বিদেশে উচ্চশিক্ষায় পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য শতভাগ কনসালটেন্সি ফি করার ঘোষণা দেন
স্কুল অলটারনেটিভ ছাড়াও ফ্যাশন ব্র্যান্ড আর্ট, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন (বিকডা) এসপাইরিং বাংলাদেশ,ডেলটা ইমিগ্রেশন, তুবা ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড এই আয়োজনের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিল। অনুষ্ঠানে অতিথিদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
- বিষয় :
- শিক্ষা