কমলনগরে দেড় কিলোমিটারের সড়কে ৫ সাঁকো
রাউজানের সামমাহালদার পাড়া-মোকামীপাড়া-ছামিদর কোয়াং সংযোগ সড়কে সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন স্থানীয় বাসিন্দারা সমকাল
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৩:৫৬
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ড এলাকার একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের বেশ কয়েকটি স্থান ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারের চাপে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। সড়কটির কাশেম মেম্বারের দোকান থেকে মানিকগঞ্জ বাজার পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার অংশে ভেঙে যাওয়া পাঁচটি স্থানে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ হয়েছে। এতে এলাকার শিশু ও বৃদ্ধসহ জনসাধারণ চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী মিয়া বলেন, ‘নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে চলতে গিয়ে এলাকার মানুষ খুব কষ্ট পাচ্ছেন। সমস্যা সমাধানে এর আগেও কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাজ কিছুই হয়নি। টেকসই সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছি।’
জানা গেছে, জনগুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কটির পাশে রয়েছে জনতা বাজার মইনুল ইসলাম কওমি মাদ্রাসা, মানিকগঞ্জ বাজার দারুস সালাম কওমি মাদ্রাসা ও কে আলম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এলাকাবাসীর পাশাপাশি এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চার শতাধিক শিক্ষার্থী সড়ক দিয়ে চলাচল করে। এসব প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। কিন্তু গেল বর্ষা মৌসুমে মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ার ও অতিবৃষ্টির পানির চাপে সড়কটির অন্তত পাঁচটি স্থান ভেঙে গিয়ে খালের মতো খাদের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চলাচলের জন্য স্থানীয়দের উদ্যোগে সেসব স্থানে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। এতে জনসাধারণের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা এসব সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। তবে সাঁকোগুলো দিয়ে শিশু ও বৃদ্ধরা চলাচলে চরম কষ্ট পাচ্ছেন। মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনাও ঘটছে।
স্থানীয় মুফতী শরীফুল ইসলাম জানান, সড়কটির কয়েক গজ পরপরই বাঁশের সাঁকো। এতে মানুষজন চলাচল করতে পারছেন না। এটি এখন এলাকার সবচেয়ে বড় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের যথাযথ উদ্যোগ জরুরি।
স্থানীয় মইনুল ইসলাম কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা ইউসুফ জানান, সড়কটির দুরবস্থা মাদ্রাসার লেখাপড়ার ওপরও প্রভাব ফেলেছে। মাদ্রাসায় শিশুশিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহফুজুর রহমান রাজন বলেন, ‘সড়কের খারাপ অবস্থার কথা আমি কয়েকবার ইউএনওসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি। নদীতীরবর্তী হওয়ায় সড়কটি উঁচু করে পুনর্নির্মাণ করা দরকার। পাশাপাশি উপযুক্ত স্থানে সেতু নির্মাণ করতে হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, ‘সড়কটি মেঘনা নদীর তীরবর্তী হওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জনসাধারণের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
- বিষয় :
- খাল