দৌড়ের পাল্লায় অন্যরকম আনন্দ

এ যেন রানারদের মিলনমেলা। শীতের সকালে ঠান্ডা ও কুয়াশা উপেক্ষা করে প্রায় সব বয়সী প্রতিযোগী উপস্থিত।  দৌড় শুরু হয় সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে, শেষ হয় ৭টা ৫৫ মিনিটে। নগরের সিআরবি থেকে শুরু টাইগারপাস, লালখান বাজার মোড় হয়ে র‍্যাডিসন ব্লু ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে চার পাকে ১০ কিলোমিটার ঘুরে এসে দৌড় প্রতিযোগিতা শেষ হয়।  
‘সব বিপ্লবীদের প্রতি স্যালুট’– প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চট্টলা রানার্সের আয়োজনে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ‘স্যাম বন্ড-সিআর-১০ কে ২০২৪’ দৌড় প্রতিযোগিতা। এতে ১৪ দেশের ৮০০ দৌড় প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।
আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে চিপ টাইমিং সিস্টেমে ইভেন্টের সব প্রতিযোগীর সময় রেকর্ড করা হয় এবং বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়। ১০০ মিনিটের মধ্যে দৌড় শেষ করা সবাইকে সম্মাননা মেডেল দেওয়া হয়। মেডেল তুলে দেন চট্টগ্রামের প্রথম এভারেস্ট পর্বত আরোহী ডা. বাবর আলী, চট্টগ্রামের প্রথম আইরন ম্যান ৭০.৩ সম্পন্ন করা অফিসিয়াল অ্যাথলেট শেখ নাহিদ উদ্দিন। 
আয়োজনে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে সফলতা অর্জনের জন্য চট্টগ্রামের তিন তরুণ ও একটি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। ২০২৪ সালে বেশি পর্বত অভিযান সম্পন্ন করায় সংবর্ধিত হয়েছে ভারটিক্যাল ডিরিমারস। আরও সংবর্ধিত হয়েছেন এভারেস্ট পর্বত আরোহী ডা. বাবর আলী, সাইকেল নিয়ে এভারেস্ট  বেইস ক্যাম্প অভিযান সম্পন্নকারী তান্মত বিল খায়ের, এথলেট শেখ নাহিদ উদ্দিন। 
মূল বিভাগে ৭৬৭ জন প্রতিযোগীর মধ্যে ১ম হয়েছেন মোহাম্মদ সুজন, ২য় মো. জাকির হোসেন, ৩য় মো. মুন্নিল ইসলাম, ৪র্থ আসাদুর রহমান মিয়া, ৫ম মোহাম্মদ ইফতি। সব বয়সী নারী প্রতিযোগীর মধ্যে ১ম হয়েছেন ফাতিমা সাদাতি, ২য় আজাদা আরিফি, ৩য় আসিফা রিজাই, ৪র্থ মোওচিং মারমা, ৫ম হয়েছেন ফারসিতা বুসতানি। ৪০ থেকে ৪৯ বছর বয়সী প্রতিযোগীর মধ্যে ১ম হয়েছেন আবু মো জুলফিকাদ আজাদ, ২য় হয়েছেন মো. ইনামুল হক, ৩য় হয়েছেন মো. শাহিন শেখ, ৫০ বছর থেকে ৫৯ বছর বয়সী প্রতিযোগীর মধ্যে ১ম হয়েছেন মো. তয়ইব, ২য় হয়েছেন মো. তোফাজ্জল হোসেন, ৩য় হয়েছেন নেপাল ভৌমিক। ৬০ বছর বা তার ঊর্ধ্ব বয়সী প্রতিযোগীর মধ্যে ১ম হয়েছেন মৃদুল কান্তি সিংহ, ২য় মো. সাইদ হোসেন,  ৩য় হয়েছেন স্বাধীন দাস। ১৪ থেকে ১৮ বছরের নিচের বয়সী প্রতিযোগীর মধ্যে ১ম হয়েছেন মাহফুজুর রহমান, ২য়  আসাদুর রহমান মিয়া, ৩য় আকিফ আবিদ আকিল।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডা. বাবর আলী, স্যাম বন্ডের চিফ বিজনেস অফিসার বিকাশ কান্তি দাস, হেড অফ সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং এ কে এম মাহমুদুল হাসান, এভার কেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের মুজাহিদ উল ইসলাম, দৃষ্টি চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ বকুল, মোহাম্মাদ দেলোয়ার, প্রদিপ দেব, কেসি বিকাশ, আরিফ, রাজিব ঘোস, মো জহির উদ্দিন, ইনামুল হক, মুজিবুর রহমান মনি,         সাইফুল মোহাম্মাদ শ্রাবণ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন কাজী আরফাত।