ঢাকা রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

চার লেনের মেরিন ড্রাইভ সড়ক চান সীতাকুণ্ডের মানুষ

চার লেনের মেরিন ড্রাইভ সড়ক চান  সীতাকুণ্ডের মানুষ

প্রতীকী ছবি

 এম সেকান্দর হোসাইন, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)

প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৫ | ২১:৪৮

দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার থেকে ছয় লেনে উন্নীত করা সরকারের একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ প্রাথমিক সমীক্ষার জন্য একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছে। তারা বিভিন্ন স্তরে সমীক্ষা চালাচ্ছে। গত বুধবার সীতাকুণ্ড সদর মুক্তিযোদ্ধা ভবন চত্বরে অনুষ্ঠিত স্থানীয়দের সাথে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভায় এলাকাবাসী বিকল্প দুটি প্রস্তাব দিয়েছেন। তারা ছয় লেনের মহাসড়কের পরিবর্তে বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে ফৌজদারহাট (ডিসি পার্ক) থেকে মিরসরাই ইকোনমিক জোন পর্যন্ত চার লেনের মেরিন ড্রাইভ সড়ক তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন। নয়তো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে বড় দারোগাহাট থেকে ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোড পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কথা বলছেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে বড় দারোগাহাট থেকে ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোড-মেরিন ড্রাইভ সড়ক পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার এলাকা অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ। মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার জন্য লোকালয়, সরকারি স্থাপনা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা, হাটবাজার, হাসপাতাল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করতে হবে। মহাসড়কের দুই পাশে থাকা হাজার হাজার বিরল প্রজাতির বৃক্ষ নিধন হবে, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হবে। এর জন্য সরকারকে বিরাট অঙ্কের টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এ অবস্থায় সীতাকুণ্ডবাসী উপরিউক্ত দুটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছেন।
সীতাকুণ্ড নাগরিক সমাজের সদস্যসচিব মাস্টার আবুল কাসেম বলেন, ‘সমুদ্র উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস প্রতিরোধে নির্মিত বেড়িবাঁধের ওপর মেরিন ড্রাইভ সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ। মহাসড়ক ছয় লেন না করে ফৌজদারহাট (ডিসি পার্ক) থেকে মিরসরাই ইকোনমিক জোন পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ সড়ক চার লেনে উন্নীত করা যায়।’ তিনি আরও বলেন, টেকনাফ থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ৯৮ কিলোমিটার এবং আনোয়ারা থেকে টানেল হয়ে ফৌজদারহাট ডিসি পার্ক পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ সড়কের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। মেরিন ড্রাইভ সড়ক চালু হলে ট্যানেল ব্যবহার বাড়বে, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। মেরিন ড্রাইভ সড়ককে বেড়িবাঁধ হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব হলে সীতাকুণ্ড ও মীরসরাইবাসী ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস, সুনামি থেকে রক্ষা পাবেন। তা ছাড়া উপকূলীয় বেড়িবাঁধের উভয় পাশে আগে অধিগ্রহণ করা সরকারি জায়গা রয়েছে। ফলে তেমন বেশি জমি অধিগ্রহণ করতে হবে না। কোনো ক্ষতিপূরণও দিতে হবে না। মেরিন ড্রাইভের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব। তা ছাড়া মাটিরও তেমন সমস্যা হবে না।
সীতাকুণ্ড সমাজকল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দীন বলেন, ‘ছয় লেনের বদলে মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ করা যায়। সেটা সম্ভব না হলে সীতাকুণ্ড অংশে বড় দারোগাহাট থেকে ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোড পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা যায়। এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের মাধ্যমে আন্ডারপাস, ওভারপাস ও সার্ভিস সড়ক তৈরি করা হলে আগামী ২০-৩০ বছর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উল্লিখিত অংশে কোনো কাজ করতে হবে না।’

আরও পড়ুন

×