শীতের খুশি আর আমেজে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে লালন ও তা ভিন্ন সংস্কৃতির লোকজনের মাঝে ছড়িয়ে দিতে ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্সের গ্লাসগো মিডিল স্কুলে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

‘পৌষ পিঠার সুবাসে মন ভরুক আনন্দে’-এই শ্লোগানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে এই মেলা শুরু হয়। মেলার প্রধান আকর্ষণ ছিল ভার্জিনিয়ার জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘শ্যাডো ড্রিমের’ কামাল তুষারের মনমাতানো গান। 

মেট্রো ওয়াশিংটন ডিসি এলাকার প্রবাসী বাঙালিদের প্রতিষ্ঠিত বিসিসিডিআই বাংলা স্কুল এই মেলার আয়োজন করে। 

বাংলা স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল ও জনপ্রিয় উপস্থাপক শামীম চৌধুরী ও লিজা বড়ুয়ার উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত পিঠা উৎসবে বাংলা স্কুলের ছোট শিক্ষার্থীরা প্রাবাসী বাঙালিদের কাছে লাল টুক টুকে বৌ, রেশমি চুড়ি, নইলে যাব বাপের বাড়ি, ভাদ্র আশ্বিন মাসে, ও দখিনা, লাল শাড়ী পিন্দি বালা, দোল দোল দোলনী, পান খাইয়া যাও, পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে, ইস্টিশনের রেল গাড়িটা ইত্যদি গানে বাংলা সংস্কৃতিকে তুলে ধরে। এছাড়া মরমী এবং বাউল গান- সোনা বন্দে আমারে দেওয়ানা বানাইলো ও কেমনে ভুলিব আমি, ভাওয়াইয়া গান- কাল বিয়ানে বনেয়া দেন মোক গামলা কয়েক পিঠা ইত্যাদি সঙ্গীত পবিবেশিত হয়। 

উৎসবে বাংলার ঐতিহ্যবাহী মুগ পাকন, ভাপা পিঠা, তিলের পিঠা, ঝাল পাটি শাপটা, পাটি শাপটা, খেজুর পিঠা, মেড়া পিঠা, মুগ পাকন, চিতই পিঠা, সবজির চন্দ্র পুলি, তেলের পিঠা, এলেবেলে দুধ চিতই পিঠা, গজা, লবঙ্গ লতিকাসহ হরেক প্রকার পিঠার স্টল বসে। পিঠা ছাড়াও শাড়ি, জুয়েলারি ও সালোয়ার কামিজেরও বেশকিছু স্টল বসে এই পিঠা মেলায়।

শামীম চৌধুরী বলেন, প্রবাসীরা সবসময় স্মৃতির ভেতর বিচরণ করেন, মা-বোনের স্নেহ আর ভালবাসা অন্বেষণ করেন। এসব সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তারা তাদের সেই ‘চাওয়া’ খুঁজে পায়।

নুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও বিভিন্ন দেশের প্রবাসী আমেরিকানদের বাংলাদেশের ঐহিত্যবাহী হরেক পদের পিঠা খেতে দেখা যায়।

উল্লেখ্য, যে ‘সংগঠন ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ফ্যামিলি’ নামের অপর এক সংগঠন আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি শনিবার ভার্জিনিয়ার উডব্রিজের ফ্রিডম হাই স্কুলে এক পিঠা মেলার আয়োজন করেছে।