নিউইয়র্কে করোনায় বাংলাদেশিদের মারা যাওয়ার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত সোমবার লাশের মিছিলে যুক্ত হয়েছেন আরও নয়জন। এর মধ্যে নিউইয়র্কে আটজন পুরুষ এবং মিশিগানে এক নারী মারা গেছেন। 

এখন পর্যন্ত নিউইয়র্কে ৮২ জন, নিউজার্সিতে চার ও মিশিগানে দু'জন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণ হারিয়েছেন ৮৮ বাংলাদেশি।

সোমবার মারা যান এক চিকিৎসক, জেএফকে বিমানবন্দরের এক কর্মীসহ ছয়জন পুরুষ ও এক নারী। ব্রঙ্কসের বাসিন্দা ডা. ইফতেখার উদ্দিন কাঞ্চন সকালে মারা যান নর্থ ব্রঙ্কস সেন্ট্রাল হাসপাতালে চার দিন করোনার সঙ্গে লড়াই করে। ৬৭ বছরের মুক্তিযোদ্ধা এই চিকিৎসক ছিলেন নিউইয়র্ক সিটি স্বাস্থ্য বিভাগের মহামারি রোগ বিশেষজ্ঞ।

ওই দিন ভোরে এলমহার্স্ট হাসপাতালে ১০ দিন এই মহামারির সঙ্গে লড়াই করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যকরী সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আজাদ বাকের।

জেএফকে টার্মিনাল-৫-এর এয়ারওয়েতে কর্মরত জ্যামাইকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আজাদুর রহমান সোমবার রাত ২টায় জ্যামাইকা হাসপাতালে মারা যান। আজাদুরের বড় ভাই ম্যানহাটানের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে আইসিউতে রয়েছেন। ওই দিন দুপুরে মারা যান ব্রঙ্কসের বাসিন্দা কুষ্টিয়া জেলা সমিতির উপদেষ্টা বর্ষীয়ান প্রবাসী আফতাব উদ্দিন (৭১)।

ভোরে ওজন পার্কে মারা যান আরেক প্রবীণ প্রবাসী ৭৭ বছর বয়সী বাবুল মিয়া। দুপুরে মারা যান ব্রুকলিনে বেগমগঞ্জ ওয়েল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক। একই সময় ব্রুকলিনে মারা গেছেন ষাটোর্ধ্ব আবুল ফাররাহ এবং মিশিগানের হ্যামট্রামিক সিটিতে মারা যান ৭৩ বছর বয়সী এক নারী। এ ছাড়া সোমবার রাতে শাহনুর নামে একজন মারা গেছেন।


এদিকে, নিউইয়র্কে করোনা আক্রান্ত বেশ ক'জন বাংলাদেশি পুরুষ ও নারী সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন চিকিৎসকও রয়েছেন।