যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসে আরও আটজন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। এদের মধ্যে রয়েছেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার বিদ্যুৎ দাস।

ষাট বছর বয়সী বিদ্যুৎ দাস ২৯ দিন নিউইয়র্কের স্ট্যাটেন আইল্যান্ডের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার মৃত্যুতে নিউইয়র্কের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নেতারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

মঙ্গলবার যারা মারা গেছেন, তাদের বেশির ভাগই সিনিয়র সিটিজেন অর্থাৎ পয়ষট্টি উর্ধ্ব বয়সের। বিদ্যুৎ দাস ছাড়াও স্থানীয় সময় মঙ্গলবার প্রাণ হারিয়েছেন, নিউইয়র্ক আপ স্টেট বাফেলো সিটির ৮৪ বছর বয়সী চিকিৎসক আবু জাহের, কুইন্সের জ্যামাইকা ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ারের শ্বশুর আব্দুস সালাম খান (৭০), নিউইয়র্কে গোলাপগঞ্জ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুহিন চৌধুরীর বাবা আতাউর রহমান চৌধুরী আলতা (৬১), ব্রুকলীনের সিরাজ সারেং নামে পরিচিত প্রবীণ প্রবাসী সিরাজুল ইসলাম খান (৭০), এস্টোরিয়ার পরিচিত প্রিয় মুখ বাবুল ইসলাম (৬০), ব্রুকলীনের আব্দুল খালেক (৭১) ও টাঙ্গাইলের সন্তান সফি হায়দার খান (৫৪)।

গত ৩ এপ্রিল সফির ছোট ভাই সাইফুল হায়দার খানও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরা সবাই নিউইয়র্কের বিভিন্ন হাসপাতালে দুই সপ্তাহ বা তারও বেশি সময় ধরে ভেন্টিলেশনে ছিলেন।

নতুন মারা যাওয়া ৮ জনসহ নিউইয়র্কে করোনায় মারা গেলেন ১৭২ বাংলাদেশি। আর যুক্তরাষ্ট্রে পাচঁটি স্টেট মিলে এই রোগে এখন পর্যন্ত ১৮৮ বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন।