নিউইয়র্ক স্টেট-এর আইন পরিষদ কর্তৃক ২৫ সেপ্টেম্বরকে 'বাংলাদেশি ইমিগ্রান্ট ডে' ঘোষণার পর দ্বিতীয়বারের মতো দিবসটি পালন করতে যাচ্ছে অভিবাসী বাংলাদেশিরা। এবার 'বাংলাদেশি ইমিগ্রান্ট ডে'তে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

মুক্তধারা ফাউন্ডেশন আয়োজিত ১০দিনব্যাপী ভার্চুয়াল বাংলা বইমেলার অষ্টম দিনে পালিত হবে বাংলাদেশি ইমিগ্রান্ট ডে। দিনটির বেশিরভাগ জুড়েই থাকবে ইমিগ্রান্ট ডে নিয়ে অনুষ্ঠানমালা।

দিবসটি ঘিরে বাণী দিয়েছেন নিউইয়র্কের গভর্নর এন্ড্রু কু্মো। তিনি  বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর বাংলা ভাষণের দিনটিকে ঐতিহাসিক অভিহিত করে বহুজাতিক ভাষাভাষী মানুষদের মধ্যে বাংলাদেশিরা নিউইয়র্ক তথা আমেরিকার সমাজ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশিরা তাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ইতিহাস দিয়ে আমেরিকাকে সমৃদ্ধ করছে।

এছাড়া বাংলাদেশি ইমিগ্রান্ট ডে ঘোষণার প্রস্তাবক সিনেটর স্ট্যাভেস্কি, সিনেটর জন লু্ এবং কংগ্রেসওম্যান এবং দক্ষিণ এশীয় কংগ্রেশনার কমিটির প্রধান গ্রেস ম্যাং এবার মুক্তধারা ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন।

আয়োজকরা জানান, নিউইয়র্ক সময় রাত ৯টায় প্রচারিত হবে ২৫ সেপ্টেম্বর 'বাংলাদেশি ইমিগ্রান্ট ডে' ঘোষণা নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রচার করা হবে। দ্বিতীয় পর্বে থাকছে এ বিষয়ে একটি আলোচনা। আমেরিকার মূলধারার রাজনীতিবিদরা ছাড়াও এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ২৫ সেপ্টেম্বরকে বাংলাদেশি ইমিগ্রান্ট ডে ঘোষণার প্রস্তাবক বিশ্বজিত সাহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আমেরিকা, বাংলাদেশ ও ইউরোপে প্রবাসী বাঙালিদের নিয়ে কাজ করেন এমন অনেকেই উপস্থিত থাকবেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে প্রথম বাংলায় বক্তৃতা দেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই দিনটিকেই 'বাংলাদেশি 'ইমিগ্রান্ট ডে' হিসেবে বেছে নেন মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও বিশ্বজিত সাহা। তার প্রস্তাবনায় ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক স্টেট সেনেটর স্টেভেস্কি ২৫ সেপ্টেম্বরকে ‘বাংলাদেশ ইমিগ্রান্ট ডে' হিসেবে রেজ্যুলেশন পাস করার জন্য সিনেটে উপস্থাপন করেন এবং দীর্ঘ শুনানির পর এটি সর্বসন্মতিক্রমে পাস হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি